কে হচ্ছেন বগুড়া-৪ আসনে ১০ মাসের এমপি

অদ্বৈত কুমার আকাশ, নন্দীগ্রাম : বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের পদত্যাগের পর থেকে এ আসনে বেজে উঠে নির্বাচনী দামামা। এ উপনির্বাচনে কে পাবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন। চলছে নানা জল্পনা কল্পনা ও লবিং-তদবির।
অবশেষে ১৪ দল নেত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের বগুড়া জেলা সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের (মশাল প্রতীক) উপর আস্থা রাখেন। এতে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যশীদের।
পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আইনি লড়াই শেষে ৯ জনকে দেওয়া হয় প্রতীক বরাদ্দ। তাঁরা হলেন- ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল), জাকের পার্টির আব্দুর রশীদ সরকার (গোলাপফুল), জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল (লাঙ্গল),বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির তাজ উদ্দীন মন্ডল (ডাব)।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুরাল), নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট ইনছান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা (দালান), নন্দীগ্রামের থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস আলী (কলার ছড়ি), কাহালু উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান (ট্রাক) ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা)।
সাধারণ ভোটাররা বলছে, নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী অংশগ্রহন করলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা ও গণসংযোগে এগিয়ে আছে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, মুশফিকুর রহমান, ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ও জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল। তবে কে হচ্ছেন বগুড়া-৪ আসনে ১০ মাসের এমপি এটি দেখতে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার নরত্তম কুমার বলেন, নন্দীগ্রামে মশাল ও কুরাল মার্কার ভোট বেশি। অন্য প্রার্থীরা তেমন ভোট পাবেনা। দুই উপজেলা মিলে কি হবে বলা কঠিন।
কাহালু পৌর এলাকার ভোটার ইদ্রিস আলী বলেন, কাহালুতে ট্রাক ও লাঙ্গল মার্কার অবস্থা ভালো। তবে কুরাল মার্কারও ভোট আছে। যোগ্য লোক দেখেই ভোট দিমু।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নন্দীগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত বলেন, উপনির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আশা করি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন ভোটার ১ ফেব্রুয়ারি ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।