গুরুদাসপুরে মাছের ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩; সময়: ৪:১২ pm | 
খবর > আঞ্চলিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুরে মাছের ট্রাক থামিয়ে বিধিবর্হিভূত ভাবে শ্রমিক সমিতির নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা আদায়কে ঘিরে শ্রমিকদের অশোভন আচরণের শিকার হচ্ছেন মাছ চাষি, ব্যবসায়ী ও ট্রাকের চালকরা। শ্রমিকদের মার মুখি আচরণের ফলে অসহায় পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় ও হয়রানি বন্ধে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়ন ট্রাক-ট্যাঙ্কলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ জিয়ারুল মোল্লা, সদস্য মিলন হোসেন ও কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মাছ ব্যবসায়ীদের পক্ষে বুলবুল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি গুরুদাসপুর থানায় ওই অভিযোগটি করেন।

ভুক্তভোগী মাছ চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, মশিন্দা ইউনিয়ন জুড়ে প্রায় ২০০ পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের জীবন্ত মাছ বিক্রির জন্য প্রতিদিনই কমপক্ষে ৫০-৭০টি ছোটবড় ট্রাক ঢাকাসহ দেশের আভ্যন্তরীণ জেলাগুলোতে নিয়ে যান মাছ চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুরের কাছিকাটা বাসষ্ট্যান্ডে মাছবাহী এসব ট্রাক থামিয়ে ছোট ট্রাকে ১৫০ টাকা ও বড় ট্রাকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করেন ওই সমিতির শ্রমিকরা। এনিয়ে ট্রাক চালক ও ব্যবসায়ীদের সাথে চলে বাক-বিতন্ডা। মশিন্দা ইউনিয়ন ট্রাক-ট্যাঙ্কলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক সমিতির সদস্যদের মারমুখি আচরণের কারণে চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হন ভুক্তভোগীরা।

মাছ চাষি জালাল উদ্দিন, হেলাল সরকার ও জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ট্রাক আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের নিয়ম না থাকলেও শ্রমিকরা মাছের ট্রাকগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখেন। মাছ পচনশীল হওয়ার কারনে চাঁদা পরিশোধ করেই মাছের ট্রাকগুলো গন্তব্যে নিতে হয় তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে সমিতির সভাপতি- সম্পাদকের সাথে কথা বলেও কাজ হচ্ছেনা। একারণে থানা পুলিশের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মশিন্দা ইউনিয়ন ট্রাক-ট্যাঙ্কলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন জানান, সমিতির নিয়ম মেনেই মাছের ট্রাক থেকে চালানের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, মাছের ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের নিয়ম নেই। অভিযোগ পাওয়ার পর চাঁদা আদায় না করার জন্য সমিতির নেতাদের নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন