আম্মুর স্বপ্ন ছিলো আমার গ্রাজুয়েশন শেষ করা, আমি তা করবো: জেসমিনের ছেলে সৈকত

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩; সময়: ৯:১৬ pm | 
খবর > আঞ্চলিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ : গত ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‍্যাব। র‍্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় জেসমিন অসুস্থ হলে তাকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভর্তির পর দিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে মৃত্যু হয় জেসমিনের। ০৩ এপ্রিল সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জেসমিনের ময়নাতদন্তের চুরান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে র‌্যাব হেফাজতে নিহত জেসমিনের পরিবারের সাথে কথা বলেছে র‌্যাবের একটি তদন্ত দল। নওগাঁ সার্কিট হাউজের একটি কক্ষে আজ বেলা পৌনে ১টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কথা হয় দুই পক্ষের। যেখানে জেসমিনের পরিবারের পক্ষে ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকত ও বোন জামাই আমিনূল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ছেলে সৈকত বলেন, তার মায়ের মৃত্যুতে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তার পোড়াশোনা। কিন্তু মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তা ঠিকঠাক করে যেতে চান তিনি। তিনি জানান – আম্মুর সপ্ন ছিলো আমার গ্রাজুয়েশন শেষ করা। আর আমি সেটা করবো।তবে মায়ের মৃত্যু বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়ায় দেখান নি সৈকত।

আর আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন চিকিৎসাধীন জেসমিনের সাথে ছিলেন তিনি। র‌্যাব সদস্যরা সেই দিনের আদ্যপ্রান্ত জানতে চান। দাবী জানান, ঘটনায় প্রকৃত দোষিকে দেখতে চান তারা। চান দৃষ্টান্তমূলক বিচারও।

কিন্তু কথা বলা শেষে অনকেটাই কৌশলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেযায় র‌্যাব সদস্যরা।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন