জনরায় মেনে নেব, ভোট দিয়ে বললেন নৌকার খালেক

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, অতীতের ভোটেও জনগণের রায় মেনে নিয়েছি, আজও মেনে নেব। এই মানসিকতা আমার আছে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পাইনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান নৌকার প্রার্থী।
ভোট দেওয়া শেষে ভোট কক্ষের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু। কেন্দ্রে নারীদের উপস্থিতি বেশি দেখছি। আশা করছি দুপুরের মধ্যেই ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ ভোটগ্রহণ হবে।
অনেক কেন্দ্রে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকায় সেই প্রার্থীদের সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলে নৌকার প্রার্থী বলেন, কেন্দ্রে এজেন্ট না দিতে পারলে প্রার্থী হওয়া উচিত না। যারা নির্বাচন করবেন তাদের প্রত্যেক সেন্টার এজেন্ট থাকা উচিত। অথচ কিছু হলেই সরকার দলীয় প্রার্থীর দোষ হয়।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিচ্ছে নগরবাসী।
এবার কেসিসি নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডের দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কেসিসির মেয়র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা) শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি)।
এবারের নির্বাচনে কেসিসির মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভোটাররা ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কক্ষে ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।