সবাইকে সাথে নিয়েই কর্মমুখর নগরী গড়তে চাই : লিটন

তিনি আরো বলেন, এবার আমার নির্বাচনী ইশতেহারে এক নম্বরে আছে কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থানের জন্য বন্ধ থাকা সরকারি কারখানাগুলো চালুর চেষ্টা করবো। সেগুলো চালু করতে না পারলে বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বিসিক শিল্প নগরী-২ করে দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে শিল্পপতির নিয়ে এসে সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলের উৎপাদিত আলু, আম, লিচু, টমোটো ইত্যাদি এসব থেকে অনেক পণ্য তৈরি করা যাবে। শিল্পপতিতের নিয়ে আসার জন্য যা দরকার সব কিছুই করতে চাই।
সাবেক মেয়র সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে। সেখানে কৃষি উপর নানা রকম গবেষণামূলক কাজ হবে, অনেকেরও কর্মসংস্থানও হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী শহরের আয়তন কয়েকগুন বৃদ্ধি করা হবে। নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে এই কাজ বাস্তবায়ন হবে। সবাইকে সাথে নিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বিভাগীয় শহর রাজশাহীকে আরো বেশি প্রাণবন্ত, আরো সবুজ নির্মল, পরিচ্ছন্ন, শিক্ষা ও কর্মমুখর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আপনারা সবাই সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে আসবেন। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন। যত বেশি ভোটের ব্যবধানে আমাকে বিজয়ী করবেন, উন্নয়নের জন্য তত বেশি অর্থ বরাদ্দ আনতে পারবো ইনশাল্লাহ।
পথসভায় জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, ১৯৮৩ সালে যখন রাজশাহীতে এসেছিলাম, তখন দেখেছিলেন অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া একটি শহর। আজকে ৪০ বছর রাজশাহী এসে উন্নয়নের যে ধারা দেখছি, তা দেখে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থেই লিটন ভাই যে উন্নয়ন করেছেন, রাজশাহীবাসী তার মূল্যায়ন করবেন ও প্রতিদান দেবেন। সেই বিশ্বাস থেকে আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছি।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. এফএমএ জাহিদ, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, জাসদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, ঢাকা থেকে আগত জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার জাতীয় পদক প্রাপ্ত খেলোয়াড় মোঃ আসলাম শেখ, মোঃ আবদুল গাফফার, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, ইমতিয়াজ সুলতান জনি সাবেক কয়েকজন ফুটবলার, মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, ৩০ নং ওয়ার্ড উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রাব্বিল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।