এই কারণে আর অভিনয় করেন না রেখা

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৩; সময়: ২:১০ pm | 
খবর > বিনোদন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: অমিতাভ, রেখা আর জয়াকে নিয়ে বলিউডে কিসসা প্রচুর। যার হয়ত কিছু রটনা, আবার কিছু সত্য। এই তিন জনের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কম জল্পনা নেই। ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সিলসিলা’য় রেখা-অমিতাভের উষ্ণ পরকীয়ার রসায়ন আরও উষ্ণ করে তুলেছিল সেলুলয়েডের পর্দা। রীতিমতো চর্চায় চলে এসেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে আর পর্দায় দেখা যায়নি রেখাকে।

এমন তুখোড় অভিনেত্রীর হারিয়ে যাওয়ায় হাজার একটা প্রশ্ন তৈরি করেছিল অনুরাগীদের মনে। কেন আর কোনো ছবির সাথে চুক্তিবদ্ধ হননি রেখা? নেপথ্য কারণ কি কোনভাবে অমিতাভ নাকি অন্যকিছু? সম্প্রতি সেই নিয়েই মুখ খুললেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী‌। শুধু তাই নয়, রেখা তার বিরল কথোপকথনে শেয়ার করেছেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবনের ভাবনা সম্পর্কেও।

সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে নামকরা এক ম্যাগাজিনের কভার পেজে রেখার ফটোশুটের ছবি। তার সাথে তার বেশকিছু এই (AI) ছবিও ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনিতে কাজের কথা বললে, ছবির চিত্রনাট্যের ব্যাপারে বড্ড খুঁতখুঁতে তিনি। সেই কারণে একটা সময় বহু ছবির অফার ছেড়েছেন।

সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রেখা বলেছেন, ‘আমি ছবি তৈরি করি অথবা না করি, সিনেমা কখনও আমাকে ছেড়ে যায় না। আমি যা ভালোবাসি, তা আবার নতুন করে তুলে ধরার জন্য পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যাই। যখন সঠিক সময় আসবে, তখন সঠিক প্রজেক্টে আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। আমার জীবন আমার নিজের, কিন্তু আমার সিনেমাটিক ব্যক্তিত্ব দর্শকের দৃষ্টিতে রয়েছে।’

টিনসেল নগরীর এই সুন্দরীর আরও সংযোজন, ‘আমি কোথায় থাকতে চাই এবং কোথায় থাকতে চাই না, তা বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমি যা পছন্দ করি, তা বেছে নেওয়ার অধিকার অর্জন করতে পেরে আমি ধন্য। তাই সহজভাবে কোনো প্রজেক্ট রিজেক্ট করার বিলাসিতাও রয়েছে।’

অভিনেত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়, যখন কেউ কাউকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলে তখন সেই ভালোবাসার ভার কি সারাজীবন থেকে যায়, নাকি সময়ের সাথে সাথে তা ক্ষয়ে আসে? রেখার তরফ থেকে জবাব আসে, ‘না। একবার সম্পর্ক স্থাপিত হলে, তা চিরকালের জন্য রয়ে যায়। মাঝে-মধ্যে প্রত্যাশা বাড়লেও কখনও কখনও যেটুকু পাওয়া গিয়েছে, যথেষ্ট বলেই মনে হয়। এটি আমার নৈপুণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।’

রেখা আরও বলেন, ‘আমি সৌন্দর্যের অধ্যবসায়ের জন্য একটি সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। কিন্তু এটা শেখার জন্য আমার অতৃপ্ত অনুসন্ধান, আমার চোখ ও হৃদয় খোলা রাখার ইচ্ছা, নেতিবাচকতা নয়, ইতিবাচকতার সঙ্গে সৌন্দর্য শুষে নেওয়া, যা আমাকে আমার নৈপুণ্যের উপর কর্তৃত্ব দেয়। আমি প্রতিদিন নিজেকে একজন নবাগতের মতো অনুভব করি।’

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন