ধ’র্ষণ চেষ্টার ‘মিথ্যা’ মা’মলা করে বাদী কা’রাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ : নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টার ‘মিথ্যা’ মামলা করায় এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার বুধবার দুপুরে এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার চাপাডাল গ্রামের আসাদুল হাকিমের স্ত্রী মারিয়া বেগম (৪৮) একই গ্রামের তহিদুল তুহিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
বদলগাছী থানা পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার বাদী পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজী দরখাস্ত দাখিল করলে বিষয়টির শুনানি নিয়ে ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন।
পরবর্তীতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে মর্মে অনুসন্ধান পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম আবারও শুরু হয়।
নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে চলতি বছরের ১০ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা আনয়ন করা হয়েছে পর্যবেক্ষন দিয়ে সকল আসামীকে খালাস প্রদান করেন।
আসামীরা শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবী করে চলতি বছরের ১ আগস্ট ধর্ষিণের চেষ্টা দাবী করা নারী মাৰিয়া বেগমসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় অভিযোগ আনয়ন করেন তহিদুল ইসলাম।
নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা নারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বুধবার মারিয়া বেগম আদালতে জামিন শুনানির প্রার্থনা করলে আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জামিনের দরখাস্ত নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে মারিয়া বেগমের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী শুভ্র সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মকবুল হোসেন।