এবার কাঁচি প্রতীকে ভোটের মাঠে এমপি এনামুল

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩; সময়: ৬:৫১ pm | 
খবর > নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে কাঁচি প্রতীক পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর পর প্রতীক নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেন শান্তির বাগমারার রুপকার হিসেবে পরিচিত এনামুল হক।

তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার শুরু করেন। ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটে গিয়ে শেষ করেন। সেখানে পথসভায় এবার কাঁচি প্রতীকে ভোট দিয়ে বাগমারার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানান উপজেলা আওযামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক।

টানা তিনবারের সংসদ সদস্য এনামুল হক এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার স্থলে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ। এদের মধ্যে এনামুল হকের প্রতীক কাঁচি ও আবুল কালামের নৌকা।

তারা দুইজন ছাড়াও এ আসনে প্রার্থী রয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী জেলা যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বাবুল হোসেন বাবুল হোসেন (মাথাল), জাতীয় পার্টির আবু তালেব প্রামানিক (লাঙল), বিএনএমের সাইফুল ইসলাম রায়হান (নোঙর) ও এনপিপির জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না (আম) প্রতীক পেয়েছেন।

বাগামরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বলেন, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অশান্ত বাগমারাকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় বাগমারার জনগণের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন এবং রক্তাক্ত বাগমারাকে করেছেন শান্তি আর উন্নয়নের জনপদ। বাগমারাবাসীর সুখে-দুখে পাশে থেকেছেন সব সময়।

এনামুল হকের এমন কর্মকান্ডে ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বদ্বীতায় দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও শুরু হয় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। সেই সাথে আত্মকর্মসংস্থান, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেটা নিয়ে কাজ করেননি তিনি। অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সেবায় ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

এরপর আসে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও তৃতীয় বারের মতো একই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাগমারা হয়ে উঠে আধুনিক ও উন্নত উপজেলা।

বাগমারার প্রতিটি এলাকার সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থার সেতুবন্ধন তৈরি করেন তিনি। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামের আঁকা বাকা মেঠো পথও পাকাকরণ করা হচ্ছে সমান তালে। বাগমারাবাসীর জন্য এমন ব্যক্তি আর আগে আসেনি। বাগমারায় সকল ধর্মের লোকজন শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের ধর্মীয় সকল অনুষ্ঠানাদী পালন করতে পারে। ছিল না কোন রাজনৈতিক সহিংসতা। দিবা-রাত্রী লোকজন রাস্তায় চলাচল করলেও কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বাগমারাবাসীর স্বার্থে এবং উন্নয়নে সব ব্যতিক্রমী কার্যক্রম করে চলেছেন তিনি।

এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাগমারাকে “স্মার্ট বাগমারা” বিনির্মাণ করবেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। স্মার্ট বাগমারা গড়তে নতুন ভোটার সহ সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। উন্নত বিশ্বের মত বাগমারাকে তৈরি করতে হলে মননশীল চিন্তা ও শানিত শক্তির কোন বিকল্প নেই।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন