প্রিয় শহরে হাঁটলেন রাষ্ট্রপতি, বন্ধুদের আড্ডায় খেলেন চিড়াভাজা ও সিঙ্গারা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয়বার পাবনা সফরে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার রাতে নিজের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা প্রিয় পাবনা শহরে হেঁটে হেঁটে স্মৃতিবিজড়িত আড্ডার জায়গাগুলো ঘুরে দেখেন এবং ছেলেবেলার বন্ধুসহ সতীর্থদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় আড্ডায় বন্ধু ও এক সময়ের সহকর্মীদের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টায় মেতে ওঠেন। প্রেসক্লাবে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেন এবং চিড়া মুড়ি সিঙ্গারা খান তিনি।
রাষ্ট্রপতি রাত ৮টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউস থেকে গাড়িতে চড়ে প্রথমে তার অন্যতম আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে যান। সেখানে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর বের হয়ে পায়ে হেঁটে আসেন আরেক আড্ডাস্থল লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে। শহরের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এক সময় রাজনীতিকসহ প্রবীণ সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের আড্ডাস্থল ছিল। এখানে অন্যদের সঙ্গে বর্তমান রাষ্ট্রপতিও আড্ডা দিতেন নিয়মিত।
রাষ্ট্রপতি লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আবারো হেঁটে যান শহরের আরেকটি অভিজাত মিষ্টি দোকান প্যারাডাইস সুইটে। সেখানেও তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজের প্রিয় ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খান।
লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ভোলানাথ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রিয় মানুষ রাষ্ট্রপতি আমার দোকানে এসেছিলেন। এসে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন, কেমন আছি জানতে চাইলেন। খোঁজখবর নিলেন। আমার এ দোকানে তিনি এক সময় আড্ডা দিতেন। আমাদের এখানকার সকালের নাস্তা তিনি খুব পছন্দ করতেন। এত বড় মানুষ হয়েও তিনি এখনো তেমনি নিরহংকারী আছেন।
এরপরই রাষ্ট্রপতি হেঁটে যান তার দীর্ঘদিনের আড্ডার জায়গা পাবনা প্রেস ক্লাবে। সেখানে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে মতবিনিময় সভার মঞ্চ করা হলেও তিনি আনুষ্ঠানিকতায় শরিক না হয়ে আগের মতো সবার সঙ্গে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন। এ সময় তিনি পুরনো স্মৃতি তুলে ধরেন, সবার সঙ্গে নাম ধরে ধরে ডেকে কুশল বিনিময় করেন।