বিশৃঙ্খলা এড়াতে পাঁচ মিনিটে গোছান ৫টি জিনিস

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪; সময়: ২:১৬ pm | 
খবর > লাইফস্টাইল

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কাজের সময় হাতের কাছে কিছু পাওয়া যায় না- এই পরিস্থিতিতে তখনই পড়তে হয় যখন ঠিক মতো কোনো কিছু গুছিয়ে রাখা হয় না।

নিজেকে গোছানো আর এলোমেলো-ভাব এড়াতে দৈনন্দিন কিছু বিষয় চট জলদি গুছিয়ে রাখার দরকার হয়। সেজন্য খুব বেশি সময় খরচেরও প্রয়োজন পড়ে না।

এরকম কয়েকটি জিনিসের মধ্যে আছে-

হ্যান্ডব্যাগ

প্রতিদিন যে ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছেন সেটা গোছানো থাকলে নিজেকে অগোছালো মনে হবে কম। আর ব্যাগের ভেতর প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজেও পাওয়া যাবে সহজে।

এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘অর্গানাইজ.ক্রিয়েট.ডিজাইন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পেশাদার সংগঠক অ্যাশলে স্টুয়ার্ট বলেন, “মানিব্যাগ বা হ্যান্ডব্যাগ পরিষ্কার করতে প্রথমেই সব পুরানো কাগজ, খাবারের বিল, রসিদ সরিয়ে ফেলুন। যেসব রসিদ কাজে লাগবে সেগুলো আলাদা কোনো পাউচে রাখুন। বাকিগুলো ফেলে দিন।”

এরপর ব্যাগের জিনিসগুলো প্রকারভেদ হিসেবে আলাদা আলাদা পাউচ বা ছোট কাপড়ের থলিতে ভরে ব্যাগে রাখুন। যেমন- মেইকআপের সরঞ্জাম একটি থলিতে, ফোনের চার্জার ও তার আরেকটি থলিতে।

এভাবে ভাগ করে জিনিসপত্র ব্যাগের ভিতর রাখলে খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।

গাড়ি

ব্যাগের মতো গাড়ির ভেতরটাও অনেকসময় অদরকারী জিনিস ফেলে রাখার স্থান হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বেশি জমে খালি পানির বোতল। সেগুলো বের করে ফেলে দিন।

এরপর ‘গ্লভ বক্স’ থেকে অপ্রয়োজনীয় সব কাগজ জিনিস সরিয়ে ফেলুন। সেখানে শুধু থাকবে গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তারপরেই পরিষ্কার করে নিন গাড়ির দরজার পকেটে থাকা নানান ধরনের অকাজের কাগজ, টোল রশিদ ইত্যাদি।

বাকি থাকলো গাড়ির পেছনে মালপত্র রাখার জায়গাটি। সেখানের গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রেখে বাড়তি জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলুন।

রান্নাঘর

ঘরের এই অংশে সবচেয়ে বেশি অগোছালো থাকে। কারণ একবার ব্যবহার করা উপকরণ সেই যে রাখা হল, আর হয়ত ব্যবহার করা হল না।

তাই গোছানো শুরু করুন মসলা দিয়ে। মেয়াদোত্তীর্ণ বা কাজে লাগবে না এমন মসলা ফেলে দিন। তারপর নজর দিন শুকনা খাবারগুলোর দিকে। সেটা হতে পারে পাস্তা, বাদাম ইত্যাদি। মেয়াদ নেই এমন খাবারগুলো ফেলে দিতে হবে। আর বাকিগুলো আলাদা বক্সে রেখে দিন। টিনজাত খাবারের ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে।

এছাড়া মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ কাছাকাছি চলে এসেছে সেগুলোও ফেলে দিতে হবে। আর অব্যবহৃত কফির বোতল, পানির বোতল এই ধরনের জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলুন রান্নাঘর থেকে।

রেফ্রিজারেইটর

ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেইটর প্রতিদিনই গোছানো উচিত। কারণ কোনো বাজে খাবার রেখে সেটা খেয়ে অসুস্থ হওয়ার কোনো মানে হয় না। তাই শুরু করতে হবে নিচ থেকে।

ফল ও সবজি- যেগুলো মনে হবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেগুলো আলাদা করে ফেলে দিন। এরপর কোনো বেচে যাওয়া খাবার যদি থাকে আর সেটা কবে রাখা হয়ে মনে করতে না পারলে সেগুলোও সরিয়ে ফেলতে হবে।

চিলারে রাখা পনির বা এই ধরনের খাবার পরখ করুন। কোনোটা নরম মনে হলে বা ছত্রাক দেখা দিলে ফেলে দিন। এগুলো খাওয়া খুবই বিপজ্জনক।

এরপর নজর দিন ফ্রিজের দরজার তাকগুলোর দিকে। অল্প বা একটু বেচে যাওয়া অথবা মেয়াদ শেষ হতে চলেছে এরকম সসের বোতল বা টিনজাত খাবার থাকলে বের করে ফেলে দিন।

টেবিলের ড্রয়ার

অফিসের বা বাসার কাজের টেবিলের ড্রয়ার অতিরিক্ত অপরিষ্কার থাকে। প্রথমেই কলম আর পেন্সিল বাছাই করুন। কালি শেষ হওয়ার পথে এরকমগুলো ফেলে দিন।

পুরানো রশিদ থেকে শুরু করে কাজে লাগবে না আর এরকম কাগজের টুকরা সরিয়ে ফেলুন। ভাঙা পেপার ক্লিপ, স্ট্যাপলার্স থাকলে সেগুলোও আর রাখার দরকার নেই।

এরপর পুরো ড্রয়ার খালি করে নিজের কাজের সুবিধা মতো প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা করে গুছিয়ে রাখুন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন