রাজশাহীতে শিক্ষক নিয়োগ জালিয়াতির মামলায় তিন পুলিশসহ চারজন রিমান্ডে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪; সময়: ৭:১৭ pm | 
খবর > আইন-আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতিতে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ –এর বিচারক ফয়সাল তারিক এ আদেশ দেন।

গত শনিবার তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির এই মামলা হয়। এই মামলার এক আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন, দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানী (৩৩), রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরের কনস্টেবল আবদুর রহমান (৩২), শাহরিয়ার পারভেজ (৩১) এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসান (৩৭)। আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজকে শুক্রবার রাতে, মেহেদী হাসানকে রোববার আটক করা হয়। মকলেসুর রহমান নামের মামলার আরেক আসামি এখনো পলাতক।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেদিনই সন্ধ্যায় তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতে সবার রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আজই আসামিদের কারাগার থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত শুক্রবার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটি চক্র চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন বলে দেওয়ার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার প্রথমে রাজশাহী মহানগর পুলিশের দুই সদস্যকে হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে শনিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কারিমা খাতুন নামের এক চাকরিপ্রার্থী।

রাজশাহী নগর ডিবি পুলিশের সদস্যরা কনস্টেবল শাহরিয়ার পারভেজের বাসা থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত ১৬টি গেঞ্জি, ১৩টি চুম্বক দণ্ড, ক্ষুদ্র গোলাকৃতির চুম্বকযুক্ত ২৬টি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ও ১৫টি সাদা রঙের মোবাইল ফোনের চার্জার জব্দ করে। এসব ডিভাইস ব্যবহার করেই চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীকে বাইরে থেকে সব প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ার কথা ছিল।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন