রমজানে মুসলিম বিশ্বে মূল্য ছাড়ের হিড়িক, বাংলাদেশে উল্টো চিত্র

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৪; সময়: ২:৪৭ pm | 
খবর > অর্থনীতি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পবিত্র মাহে রমজান মাস আসলেই উৎসব লেগে যায় মুসলিম বিশ্বে। মধ্যপ্রাচ্যসহ আরব বিশ্বের সব দেশেই থাকে সাজসাজ রব। আত্মশুদ্ধির মাস হিসেবে শুধু নামাজ-কোরআর, তসবি-তিলওয়াতই নয়, সবকিছুতেই পরিপূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

পবিত্র এই মাসে যেন রোজাদাররা ঠিকঠাক রোজা পালন করতে পারেন, সাধ্যের মধ্যে যেন সবকিছু থাকে এ জন্য দেশে দেশে মূল্য ছাড়ের হিড়িক লেগে যায়। এরই মধ্যে সৌদি আরব, ওমান, কাতার এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে হাজার হাজার পণ্যে বিশাল মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রোজার আগেই খেজুরের ওপর ৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে আমিরাতের ব্যবসায়ীরা। শুধু খেজুরই নয়, সবধরণের নিত্যপণ্যের ওপরও বিশাল ছাড় দিয়েছে দেশটি। দুবাইয়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারও যেন পছন্দের পণ্য কিনতে কষ্ট না হয় তাই প্রতি বছর রমজানে সাধ্যমত ছাড় দিয়ে থাকেন তারা।

সৌদি আরবে ইফতারি ও সেহরির জন্য রেস্তোরাগুলো তাদের খাবারের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি নিত্যপণ্যের ওপর একেক প্রতিষ্ঠান একেক হারে ছাড় দিয়েছে। যা রোজার আগ থেকেই কার্যকর হয়েছে।

ওমানেও চলছে মূল্য ছাড়ের হিড়িক। ইফতার কিংবা সেহরি পার্টির জন্য হোটেল বুকিং দিলেই মিলছে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। আর পোশাকের ওপর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গোটা মুসলিম বিশ্বে যখন ছাড়ের হিড়িক চলছে তখন অনেকটা উল্টো চিত্র বাংলাদেশে। রোজার এক সপ্তাহ আগেই প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

ছোলা, চিনি, খেজুর আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ভজ্য তেলে দাম কিছুটা কমানোর ঘোষণা দিলেও তার কার্যকারিতা বাস্তবে নেই। বেড়ে গেছে মাছ, মাংস থেকে শুরু করে লেবু, বেগুনের মতো সবজির দামও।

ক্রেতারা বলছেন, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরও বেশি বেপরোয়া হয়। মানুষকে জিম্মি করে ইচ্ছে মতো দাম হাকান। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। তাদের দাবি, ছাড় দেওয়ার দরকার নেই, অন্তত দাম যেন অস্বাভাবিক হারে না বাড়ে সরকারের সেটা মনিটরিং করা খুব জরুরি।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন