নাটোরে পৃথক মামলায় ২ জনের কারাদন্ড

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৪; সময়: ৩:১১ pm | 
খবর > আইন-আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সুজন রানা নামে এক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় দুই জনকে খালাস দেয়া হয়। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত সুজন রানা কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর চরপাড়া এলাকার আনারুলের ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়াদিয়ার এলাকার আমীর আলীর ছেলে মাহমুদুল হাসান ও একই উপজেলার বড়পুকুরিয়া এলাকার কাশেম আলীর ছেলে সুজন।

নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাগাতিপাড়ার উপজেলার পেড়াবাড়িয়া এলাকায় ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে প্রেমের ছলে মোবাইল ফোনে বিয়ের প্রলভোন দিয়ে ডেকে নিয়ে পাশের আম বাগানে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সুজন রানা।

এ ঘটনায় সহযোগিতা করেন তার বন্ধু মাহমুদুল হাসান (১৭) ও সুজন (১৭)। ঘটনার পরের দিন নির্যাতিতা বাদি হয়ে সুজন রানাকে প্রধান করে মাহমুদুল হাসান ও সুজনকে আসামী করে বাগাতিপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার সুজন রানাকে ৯(১) ধারায় দোষি সাব্যস্ত হওয়ায় ১০ বছর আটকাদেশ দেন। সেই সাথে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় মাহমুদুল হাসান ও সুজনকে খালাস প্রদান করেন।

এছাড়া অপর একটি মামলায় কালাম নামে একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। কালাম নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার রুপচান মাস্টারের ছেলে।

কালাম বড়াইগ্রাম উপজেলায় ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারী সকালে মৌখাড়া কাঠালতলা এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর ভিকটিমের সামনে অশ্লীল আচরণ করে পরে উলঙ্গ ছবি দেখিয়ে তার চরিত্রের ব্যাঘাত ঘটানোর হুমকী দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় একই বছরের ৩ মার্চ ভূক্তভোগি নারী বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কালামকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ সোমবার কালাম নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবে বলে বিজ্ঞ বিচারক আদেশ দেন।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন