নিয়ন্ত্রণহীন ফলের বাজার

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪; সময়: ৯:১৫ pm | 
খবর > অর্থনীতি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: রোজার আগের দিন নিয়ন্ত্রণহীন খেজুরসহ বিদেশি ফলের বাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিতে চড়া শুল্ক এবং ডলার সঙ্কটে এলসি জটিলতার কথা।

তাদের দাবি, খেজুরসহ অন্যান্য ফলকে বিলাসী তালিকায় ফেলে উচ্চ শুল্ক আরোপ করায় এর দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রতি মিনিটে বাড়ছে ফলের দাম।

সরবরাহে ঘাটতি নেই। তাই টাকা দিলেই মিলছে আমদানি করা হরেক জাতের খেজুর। তবে দাম গেলো বছরের প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। তাই রোজায় ইফতারে অন্যতম এই উপকরণে যেনো হাত দেয়ার উপায় নেই, বিক্রেতারা বলছেন চড়া শুল্ক দাম বাড়িয়েছে। ফলে এবার কমেছে ক্রেতা।

এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, আমরা গত বছর ২৫ টনের শুল্ক দিতাম তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। এখন দিচ্ছি সাড়ে ৫২ লাখ টাকা। আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে এখানে কোনো শুল্ক ছিলো না। এ বছর খেজুরকে লাক্সারি আইটেম করেছে।

আরেকজন বিক্রেতা বলেন, গত বছর যে খেজুর বিক্রি করেছি পাঁচ কেজি ৩৮০০ টাকায়, এবার তিন কেজির কার্টন বিক্রি করছি সাড়ে চার হাজার টাকায়।

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয়, মাবরুম, কালমি, আজোয়া, জিহাদি, দাবাজ, মরিয়ম এবং বস্তাসহ প্রায় ২০ জাতের খেজুর। গত বছর খুবই ভালো জাতের খেজুরের কেজি ছিলো ১৩০০ টাকা। এবার থেকে ১৭০০ টাকা। বস্তায় সাধারন মানের খেজুরই পাইকারি বিক্রি হচ্ছে আড়াইশো টাকা কেজিতে।

ফল আমদানিকারক সমিতি বলছেন সারা বছরে খেজুরের মোট চাহিদা ৯০ হাজার টন, এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন লাগে রমজানেই। এবার আমদানির আগেই পুরো এলসি মুল্য পরিশোধ নীতি, ডলার স্বল্পতায় এলসি খুলতে না পারা এবং উচ্চ শুল্ক সব মিলিয়ে বেশামাল খেজুরের দাম।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিন্তু খেজুরের মূল্য কমই ছিলো। খেজুরের ওপর যেভাবে কর চাপানো হয়েছে মানুষের এখন খেজুর খাওয়া মুশকিল। সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবিই বলছে এবার খুচরা বাজারে সাধারণ মানের খেজুরের দাম গতবারের তুলনায় ১৯৭ শতাংশ বেশি।

এদিকে, টিসিবি এবার সুলভ মূল্যে খেজুর বিক্রির কর্মসুচি এখনো শুরু করেনি বলেই মুনাফালোভীরা খুচরা বাজারে দাম বাড়িয়েছে বলে মনে করছে টিসিবি ডিলার কল্যান সমিতি।

টিসিবি ডিলার কল্যান সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু নির্দিষ্ট মানুষের কাছে এই পণ্যটা থাকে। সেক্ষেত্রে এর প্রতিযোগিতা কম হয়। টিসিবির হাতে এখন পর্যাপ্ত খেজুর নেই। সেকারণেও বাড়তে পারে।

খেজুর নয়, বাদামতলীতে পাইকারি কিনতে আসে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন কমলা, আঙুর, আপেল, মাল্টা এবং বেদানার মতো বিদেশি ফলের দাম প্রতি মিনিটেই বাড়ছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন