মেয়ের ফল পেয়ে কাঁদছেন মা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৬৫ পেয়ে ওই ব্যাচের মধ্যে তৃতীয় হয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলবি প্রোগ্রামের অষ্টম সেমিস্টারের প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে মেয়ের ফল পেয়ে কাঁদছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তিনি বলেন, এখন আর ফলাফল দিয়ে কি হবে? মেয়েটাই তো নেই। মেয়েটাকে হারালাম, এখনও জবির তদন্ত প্রতিবেদন বের হয়নি। কখন হবে তাও অনিশ্চিত।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, অষ্টম সেমিস্টারে ৩.৭৩ পেয়েছেন অবন্তিকা। এর মধ্যে স্পেশাল পেনাল ল কোর্সে তিনি পেয়েছেন ৩.৭৫, ল অব ক্রিমিনাল প্রোসিডিউরে পেয়েছেন ৩.৫০, কনভিয়েন্সিং, ড্রাফটিং অ্যান্ড ট্রায়াল এডভোকেসি ট্রেনিংয়ে ৩.৫০, লিগ্যাল রিসার্চ অ্যান্ড রাইটিং কোর্সে ৩.৭৫, লিবারেশন মুভমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট কোর্সে ৪.০০ এবং মৌখিক পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পেয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস দেন। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করেন।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অবন্তিকার মা মুঠোফোনে সমকালকে বলেন, জবির ভিসি ম্যাডাম আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন ‘দ্রুততম’ সময়ে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে। কিন্ত তার আশ্বাসের ওপর এখন আর ভরসা রাখতে পারছি না। এতদিন পার হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনই জমা দিতে পারেনি। আমি কি আমার মেয়ের ন্যায়বিচার পাব? কিছুদিন আগে শুনলাম প্রক্টরের জামিনও হয়ে গেছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, তদন্ত চলমান আছেন। শিগগিরই জবির বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়া হবে। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও হাতে আসেনি। মামলার চার্জশিট দিতে আরও কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।