বাতিলই থাকছে ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি

প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪; সময়: ৮:৩০ pm | 
খবর > শিক্ষাঙ্গন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির সেই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে। মঙ্গলবার (২১ মে) ভর্তি বাতিল বহাল রেখে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায়ে হাইকোর্ট এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ১৫ দিনের মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দেন আদালত।

হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় অভিভাবকরাও এড়াতে পারেন না।

রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম সরদার বলেন, এই রায়ে বয়স সীমার বাহিরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মঈনুল হাসান বলেন, আদালত অনিয়ম তদন্তে একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রদান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি ও বুয়েটের একজন আইটি এক্সপার্টকে রাখতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে অভিভাবকদের আইনজীবীর দাবি, এ বিষয়ে গাফিলতি বা দুর্নীতি থাকলে তার দায় মাউশি কিংবা ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষের। এই রায়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভুক্তভোগী করা হয়েছে।

অভিভাবকদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, অপরপক্ষ ভর্তির লটারিতে কোন দুর্নীতি দেখাতে পারেননি। এই রায়ের ফলে যাদের দায় ছিল, তারা ভুক্তভোগী হয়নি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) জানায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি। বিধিবহির্ভূতভাবে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্ম নেয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন শিক্ষার্থী ছিল। এরপর মাউশির নির্দেশে ওই শিক্ষার্থীদের সবার ভর্তি বাতিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে বয়সসীমা না মানার অভিযোগে ভিকারুননিসায় ভর্তিচ্ছু দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাইকোর্টে রিট করেন। পরে গত ১৪ জানুয়ারি রিটের প্রাথমিক শুনানি হয়। রিটের সগুনানি শেষে ২৩ জানুয়ারি রুলসহ আদেশ দেন আদালত। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন