এএসপি আনিস হত্যা মামলায় বাবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪; সময়: ৩:২২ pm | 
খবর > আইন-আদালত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীর আদাবরের একটি হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-৩ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে ফাইজুদ্দীন আহম্মেদের জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

তার জেরা শেষ হওয়ায় আগামী ১ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন- আরিফ মাহমুদ জয়, মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানভির হাসান, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, শ্রী অসিম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেদুওয়ান সাব্বির ওরফে সজিব, ডা. আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, ফাতেমা খাতুন ময়না।

এদিকে আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় ও আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দানের আবেদন করা হয়।

আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।

এএসপি আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক ফারুক মোল্লা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন