বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবদেক : রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। রোববার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সভাপতি শফিকুল আলম সমাপ্ত জানান, গুলশানের বাসায় বেলা ১১টার দিকে অসুস্থ্য হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। দ্রুত তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান। তিনি দির্ঘদিন যাবৎ তিনি ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বেলা ২টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে নাদিম মোস্তফাকে বহনকারী লাশবাহী গাড়ি ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে। সোমবার নাদিম মোস্তফার তিনটি নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সকাল ১০টায় দুর্গাপুর, বেলা ১১টায় পুঠিয়ায় এবং দুপুর ২টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। তবে কোথায় তাকে দাফন করা হবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
নাদিম মোস্তফার ছোট ভাই সাঈদ হাসান বলেন, তিনি হার্টের অসুখ ও ডায়াবেটিস নানা শারীরিক সমস্যা ভুগছিলেন। তিনি ঢাকায় তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করেছেন। এরপর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নাদিম মোস্তফা ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর পরিচিত নাদিম মোস্তফা ছাত্রজীবনে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রভাবশালী নেতা। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।