বাগমারায় প্রতিপক্ষের হয়রানির শিকার ইটভাটা ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাগমারায় এক ইটভাটা ব্যবসায়ীকে প্রতিহিংসা মূলক ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপুর গ্রামে বৈধ ভাবে ইটভাটা ব্যবসা করে আসছেন জে.বি.কে বিক্সস ইট ভাটার মালিক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। বাদশা উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বাগমারা ভাগনদী ও শান্তিপুর গ্রামে তিন ফসলি জমি দখল করে ইট ভাটা নির্মাণের প্রতিবাদে প্রতিহিংসা মূলক মানববন্ধন করেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষরা। ভাগনদী ও শান্তিপুর গ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারনের ব্যানারে মানববন্ধন করে একটি স্বার্থান্বেষী পক্ষ। এ ঘটনাটি কিছু গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিহিংসা মূলক মানবন্ধন ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জে.বি.কে বিক্সস এর মালিক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা।
প্রতিবাদ লিপিতে জাহাঙ্গীর আলম বাদশা দাবি করেন, ২০১২ সাল থেকে বৈধ ভাবে সরকারি নিয়ম-নীতি মালা সব কিছু মেনে জে.বি.কে বিক্সস ইট ভাটার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইটভাটার ১০০ মিটার দূরে এস.বি.কে বিক্সস নামে আরেকটি ইটভাটা রয়েছে। অথচ সেই ইটভাটার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই প্রতিপক্ষদের। আমার ইটভাটাতে প্রায় ৫০০ মানুষ কাজ করে তাদের পরিবার চালায়।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে এলাকার সাইফুল মৃধা, মিন্টু সরদার, আবুল মৃধা, কুদ্দুস মৃধা ও সুলতান মন্ডলের নেতৃত্বে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত মূলক ভাবে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সেই সাথে কিছু গণমাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বাদশা আরো জানান, এ ঘটনার আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর সুলতান মন্ডল বাদী হয়ে বাগমারা থানায় আমি ও আমার ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি মামলা দায়ের করে। সেই মিথ্যা মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর আদালত থেকে জামিন নেয়া হয়। সেই সুলতান মন্ডল পূর্বশত্রুতার জের ধরে এলাকার কতিপয় ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার জন্য চক্রান্ত মূলক অপপ্রচার করছে। এর আগে সুলতান মন্ডলের নেতৃত্বে আমাকে ও আমার ছেলে সোহাগের উপরে হামলা চালায় তার লোকজন। হামলার শিকার হয়ে আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে আমি ও আমার ছেলে ভর্তি ছিলাম। তাদের চক্রক্রান্ত মূলক হয়রানির থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।