‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ ও আহতদের জন্য যা করণীয় সবই করবে’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪; সময়: ৩:৩৬ pm | 
খবর > আঞ্চলিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে স্বৈরাচারী সরকারের গুম, খুন ও পঙ্গুত্বকারীদের পাশে থাকতে গঠিত ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য যা করণীয় সবই করবে বলে ঘোষণা করেন সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাটের বেতিপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ।

আতিকুর রহমান রুমন বলেন, আমরা দেশ নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই শহীদ ও আহতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তারেক রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে নামকরণ করতে হবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সবই করবে ইনশাআল্লাহ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, বেদনাবিধুর ৫ আগষ্টের ১ মাসের রক্তের লড়াইয়ে যারা জীবন দিয়েছেন পঙ্গুত্ববরণ করেছেন যারা মারা গেছেন দেশে তারা ও তাদের পরিবার স্বরণীয় হয়ে থাকবে। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, ৫২ ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তারা স্বরণীয় হয়ে আছে। ২৪ এর লড়াইয়ে ১৫৫২ জন জীবন দিয়েছে তারা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের আশ্রিত সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলন্ঠিত করেছে।

দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মাটি কামরে থেকেছেন। আর তিনি ৪৫ মিনিটে পালিয়ে গেলেন। ভারত ছাড়া কোন দেশ তাকে জায়গায়ও দিচ্ছে না। ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আওয়ামী লীগ ও ভারতের দোসরদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে।

আবাবিল পাখির মত ৫ তারিখে ঢাকার রাজপথে আবির্ভাব হয় মানুষ। গগনবিদারী স্লোগানে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত হয়। পতিত সরকারের হেলমেট বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে হত্যা করেছে। তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া দরকার। বৈষম্য ও শোষণ মুক্ত জাতি ও সমাজ গঠন করতে হবে।

পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাংবাকি জহুরুল ইসলামের সমন্ময়ে অনুষ্ঠানে জেলা জাসাসের আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম খান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাজু, প্রমুখ।

তারেক রহমান পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের সময় পাবনায় নিহত শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাবা দুলাল উদ্দিন মাস্টার এবং শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের বাবা আবুল কালাম। তারা তাদের সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেন‌ এবং আহতদের সুচিকিৎসার দাবি করেন।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন