বাগমারার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হতে মরিয়া আ.লীগ নেতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৪; সময়: ২:১৮ pm | 
খবর > রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন গ্রেফতার হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে আরেক আ’লীগ নেতা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন। তাকে দায়িত্ব দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তার পক্ষে দৌড়ঝাঁপ করছে বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির কিছু নেতা কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে তার অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ও হামলার শিকার হয়ে আহত হন যুবদল নেতা মুনসুর রহমানসহ আরো অনেকেই। ওই দিন হামিরকুৎসা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন এবং শতাধিক আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় অংশ গ্রহনও করেন। ওই ঘটনায় যুবদল নেতা মুনসুর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আন্দোলনে আ’লীগ সরকারের পতনের পর বাগমারায় আ’লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যানরা গা ঢাকা দিলেও আনোয়ার চেয়ারম্যান বহাল তবিয়তে ইউপি কার্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন গ্রেফতার হয় কিছু দিন আগে।

এদিকে, আনোয়ার হোসেন এর ঘনিষ্ট স্থানীয় আ’লীগ নেতা ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন রয়েছে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাজমুল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে বসাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে স্থানীয় বিএনপি কিছু সমর্থকরা। ইউনিয়ন বিএনপির কিছু নেতা কর্মীকে হাত করে তার পক্ষে তদবির চালাচ্ছেন মেম্বর নাজমুল। ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির সক্রিয় দুইজন সদস্য থাকলেও তাদের উপেক্ষা করে আ’লীগ নেতা নাজমুলের পক্ষে তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করতে তদবির ও তার পক্ষ নিয়ে কাজ করায় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বাগমারা ১৪ নং হামিরকুৎসা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাধার সম্পাদক ও ইউপি সদস্য জাহেরুল ইসলাম মৃধা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির কিছু সুবিধা বাদি নেতারা আ.লীগ নেতা নাজমুলকে উইনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতা হয়ে আ’লীগের মেম্বরের পক্ষ নেয়া খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে স্থানিয় ইউনিয়নের একাধিক বিএনপি নেতা ও কর্মী সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যারা এখনো এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয় ইউপি সদস্য নাজমুলের মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন