কচুয়ায় স্বামীর পরকীয়ায় ৩ সন্তান নিয়ে বিপাকে স্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪; সময়: ১০:৫৬ am | 
খবর > আঞ্চলিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়ায় স্বামীর পরকীয়ায় স্ত্রী ও সন্তানরা নিঃস্ব হয়েছে। স্বামীর পথ চেয়ে এখনও বসে আছে স্ত্রী ফাহিমা বেগম। উপজেলার দোয়াটি সরকার বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে কামাল হোসেন স্ত্রী ও তিন সন্তানকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। যার কারণে সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

স্বামীর পরকীয়ায় সংসারে নেমে আসে এক অমানিশার অন্ধকার। তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে সেই সোনার সংসার তাসের ঘর হয়ে যায়। স্বামী কামাল হোসেন পরকীয়া আসক্ত হয়ে বিয়ে করেন অন্য এক নারীকে। এতে করে প্রথম স্ত্রী ফাহিমা বেগম সন্তানদের নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। প্রবাস থেকে দেশে এসে স্ত্রী ও সন্তানদের রাখেননি কোনো খোঁজ।

স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, ইমু গ্রুপ কলের মাধ্যমে প্রবাসে থাকা অবস্থায় পরিচয় অন্য এক নারীর সাথে। পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আমাদের নিচ্ছে না কোনো খোঁজ। ধার দেনা করে কামাল হোসনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। কিন্তু অন্য নারীর প্রেমে আসক্ত হয়ে সন্তান ও বাবা-মায়ের কোনো খোঁজ রাখেন না। স্বামী ও সন্তানদের অধিকার ফিরে পেতে প্রশাসন ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, গত বছর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি আসেন কামাল। কিন্তু এলাকাবাসী টাকা চাইতে গেলে তোপের মুখে পড়েন তারা। পরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রাতেই কামাল পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে পাওনাদাররা বাড়িতে এসে ভিড় করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০১ সালে পারিবারিক ভাবে একই উপজেলার পালাখাল গ্রামের নয়াবাড়ির লোকমান হোসেনের মেয়ে ফাহিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে তিনটি সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর সংসার ভালো চললেও হঠাৎ নামে অন্ধকারের ছায়া।

স্ত্রী ফাহিমা বেগম স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে ধার দেনা করে কামাল হোসেনকে ২০১৪ সালে কাতারে পাঠান। পরে সেখান থেকে এসে পুনরায় ২০১৯ সালে সৌদি আরবে যান। সৌদিতে ২ বছর থাকার পর তিনি কাউকে না জানিয়ে দেশে চলে আসেন। পরে কয়েক মাস যেতেই তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম জানতে পারেন তিনি দেশে এসেছেন এবং অন্যত্র নারীর সাথে রয়েছেন।

প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে কামাল হোসেন আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে কামাল হোসেনের মেয়ে হাবিবা কলেজে পড়াশোনা করলেও তা এখন বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি তার ছেলে এমরান ও শাওনের পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে, সংসারের বোঝা টানতে কাজ করছেন তারা। সন্তানদের খোঁজ খবর না রাখায় ফাহিমা বেগম পড়েছেন বিপাকে। অর্থাভাবে দিন কাটছে তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা পাওনাদার সেতারা বেগম, খুকি বেগম, নাজমা বেগম, শাহিন সুলতানা, মাফিয়া ও সালমা বেগমসহ একাধিক লোকজন জানান, কামাল হোসেন আমাদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নিয়ে প্রবাসে যায়। কিন্তু টাকা চাইলে তালবাহানা করে।

একদিকে পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছে, অন্যদিকে টাকা পরিশোধের ভয়ে এলাকায় গাঁ ঢাকা দিয়েছে। দ্রুত তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে কামাল হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

 

 

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন