এবার যারা এইচপিভি টিকা মিস করবে তারা আর ফ্রিতে পাবে না : স্বাস্থ্যের পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা.আনোয়ারুল কবীর বলেছেন, এবার যারা এইচপিভি টিকা নিতে ব্যর্থ হবে, তারা আর পরবর্তীতে এ টিকা বিনা মূল্যে পাবে না। এইচপিভি ক্যাম্পেইন পরবর্তীতে আর হবে না। পরের বছর থেকে নিয়মিত ইপিআই এর সাথে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে শুধু মাত্র পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েদের। ফলে এবার পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে যারা আছে তাদের এ টিকা এবারের পরে আর পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজশাহীর মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হলরুমে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আসন্ন এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে কর্মকর্তাদের সাথে বিভাগীয় পর্যায়ে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর এ সভার আয়োজন করে।
ডা. আনোয়ারুল কবীর বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার নারীদের জন্য একটি অভিশাপ। এর ফলে আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার নারী মারা যাচ্ছে। অনেকে দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ্যতায় জীবন কাটায়। এইচপিভির এক ডোজেই ৯৫ শতাংশ এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এখন বিনামূল্যে যে টিকা দেয়া হচ্ছে নিজ উদ্যোগে তা ক্রয় করতে ৫ হাজার টাকা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি টিকার গুণগতমান নিঃসন্দেহে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। বিশ^ স্বাস্থ্যসংস্থার অনুমোদন ছাড়া কোনো টিকা সরকারিভাবে দেয়া হয় না। এই টিকার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তিনি এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ১৮ কর্মদিবস রাজশাহীসহ সাতটি বিভাগে একযোগে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীরা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছরবয়সী কিশোরীরা কমিউনিটি পর্যায়ে এ টিকা নিতে পারবে। টিকা প্রাপ্তির জন্য ওয়েবসাইটে অথবা এ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্নের পরে ওয়েবসাইটে টিকা গ্রহণের কেন্দ্র হিসেবে স্কুল নির্বাচন করতে হবে। এরপর টিকা কার্ড ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলে টিকা নিতে হবে।
সভায় রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি), জেলা তথ্য অফিস, বাংলাদেশ বেতার এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।