গুরুদাসপুরে ইউপি চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪; সময়: ৮:২৫ pm | 
খবর > আঞ্চলিক

এসএম ইসাহক আলী রাজু, গুরুদাসপুর (নাটোর) : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী প্রামানিক, নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রতন ও নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ মন্ডলের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর বাজারে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আলী, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান রাজা, যুগ্ন আহ্বায়ক রেজাউল হাসান রেজা, যুগ্ন আহ্বায়ক ইমান আলী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলেরর আহ্বায়ক শরিফ আহমেদ, সদস্য সচিব সোহানুর রহমান ও যুবদলকর্মী রাকিব আহমেদ। এছাড়াও বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল বলেন,‘নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী প্রামানিক দখল ও চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে গিয়েছিলেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে গত সোমবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নেতাকর্মীদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিতি সৃষ্টি করার লক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। দলের উর্দ্বত্বন নেতাদের নির্দেশে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

যুগ্ন আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান রাজা বলেন,‘নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার বদলে তিনি অপরাজনীতি করতেন। এ কারনে তাদের অপসারনের দাবি তোলা হয়েছে।

তবে এস্বকল অভিযোগ অস্বিকার করেন নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, তার কলেজের এড হক কমিটি নিয়ে দ্বন্দে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে দায়ি করার চেষ্টা করছেন। তার কলেজে অন্যান্য কলেজের চাইতে শিক্ষার হার অনেক বেশি।

নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী প্রামানিক বলেন,‘মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিলো। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তার ভাই-ভাতিজারা কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে নাটোর থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। পথে কোন স্লোগান বা শোভাযাত্রা করা হয়নি। বরং যুবদল নেতাকর্মীরাই দেশিয় অস্ত্র হাতে নিয়ে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন নাজিরপুর বাজারে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন