ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে কচুয়ায় রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪; সময়: ৪:৪৩ pm | 
খবর > আঞ্চলিক

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া : ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে চাঁদপুরের কচুয়ায় রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ ক্ষেতই নষ্ট হয়ে গেছে।

বুধবার রাত থেকে এক ঢানা বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল হিমেল হাওয়া। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে ক্ষতি হয়েছে শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে নষ্ট হয়েছে মাঠের পাঁকা রোপা আমন ধানের। এদিকে এমন ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। ফলে অনেকটাই ক্ষতিসাধন হয়েছে বলেও জানান কৃষকরা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এতে উৎপাদনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না এমনটাই জানান কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪ হাজার ২৪৬ হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, কিন্তু আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৯০৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে কৃষককে সরকারি প্রনোদনা (বীজ ও সার) দেয়া হয়েছে।

পালাখাল গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন, নুরুল ইসলাম ও ইমান হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে আমরা জমিতে তিন জাতের রোপা আমন ধান রোপন করি। প্রথম দিকে পাঁকায় ধান গাছের ক্ষতি করলে পরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল। কয়েকদিন পর ধান কাটা শুরু করার কথা ছিল। প্রবল বাতাসে পাকা ধান নুয়ে পড়ছে এবং ঝরে পড়েছে অনেক ধান। এছাড়া পাকা ধান ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এখন ধান কাটা যেমন কষ্টের তেমনি ধান কাটা শ্রমিকদের দিতে হবে দিগুণ মজুরি। প্রচুর ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফসল নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছি।

কৃষক মনির হোসেন জানান, তিনি প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বুধবারের ঝড়ো হাওয়ায় ধান গাছ গুলো নুয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাঙ্খিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এখন মুঠামুঠো জমির সব ধানই পাঁকা। যেসব ধান জমিতে পড়ে গেছে, রুদ্র উঠলে ধানি জমির পানি কমেলে ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন