সুজানগরে ২৮ অক্টোবরের খুনিদের বিচার দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৪; সময়: ৬:৪২ pm | 
খবর > রাজনীতি

এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বইঠাধারী সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২৮ অক্টোবর) বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা শাখার আমীর অধ্যাপক কে,এম হেসাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী টুটুল হোসাইন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি রেজাউল করিম, সুজানগর পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর রফিকুল ইসলাম, সুজানগর পৌর জামায়াতের আমীর ফারক-ই-আযম, বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি ও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ¦ হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল মমিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন,সুজানগর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস,সেক্রেটারী তরিকুল ইসলাম, পৌর সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী শাকিল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মমিন,সেক্রেটারী সাগর প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে সেদিন লগি–বৈঠা দিয়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করা হয়। তারা সেদিন হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছিলো। তাই ২৮ অক্টোবরের সেই খুনিদের বিচার করতে হবে। এরপর বিগত ১৬ বছর জামায়াত এবং শিবিরের বিরুদ্ধে গুম খুন ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের বিচার এদেশের মাটিতে হবে ইনশাঅল্লাহ। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুজানগর উপজেলা শাখার আমীর অধ্যাপক কে,এম হেসাব উদ্দিন বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ জানত না আগামীকাল শেখ মুজিবুর রহমানের পতন হবে। তেমনিভাবে ৫ আগস্টের আগেও শেখ হাসিনা জানত না তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। তারা কত বড় সন্ত্রাসী, কত বড় গুন্ডা কত বড় লুটতরাজকারী তা দেশবাসী দেখেছে।

একারণেই এদেশের মানুষ আর তাদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শেখ হাসিনা ভোটারবিহীন ও প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে এদেশকে অকার্যকর করে দিয়েছিল।‘লগি–বৈঠা দিয়ে আওয়ামী লীগ যে হত্যাকাণ্ড করেছিল তা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা সেদিন বাংলাদেশে হত্যার মহাউৎসব করেছিল। ১৬ বছর দেশ চালিয়ে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এদেশের জনগণ তাদের বিচার নিশ্চিত করবে। যে ছাত্রজনতা জীবন দিয়ে এদেশকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। আমরা তাদের সেই সম্মান ধরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব ইনশআল্লাহ।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন