গুরুদাসপুরে বিএনপির ১১ জন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪; সময়: ১১:০১ am | 
খবর > রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুরে ছাত্রদল ও যুবদলসহ ১১ জন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলায় সোমবার (২৮ অক্টোবর) গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে, রায়হান নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে একটি জানাযা শেষে ফেরার পর মধ্যমপাড়ার একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন বিএনপি নেতা এমদাদ সমর্থিতরা। এসময় যুবলীগ নেতা আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছ মৃধা, জাহাঙ্গীরসহ ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাকিল বিএনপি নেতা এমদাদ, মিলন প্রামাণিক, সাব্বির হোসেন, জনি পারভেজ, শামীম রহমান ও সাইফুল ইসলামসহ ১১জনকে কুপিয়ে যখম করেন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং গুরুতর আহত শাকিল ও জনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় আব্দুল হামিদ প্রামানিক (৬২) বাদী হয়ে শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছ মৃধা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর মৃধাসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। রাতেই রায়হান নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বাদি আব্দুল হামিদ বলেন, রাকিব চাল বিক্রির ৩ হাজার টাকা পেতেন যুবলীগ নেতা আলমগীরের কাছে। আলমগীরের প্রতিবেশি বিএনপি নেতা এমদাদের সরনাপন্ন হন রাকিব। টাকা তুলতে গিয়ে আলমগীরের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন এমদাদ ও রাকিব হোসেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছেন আলমগীর ও তার সহযোগীরা।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলা দায়ের পর রায়হান ও আরিফুল ইসলাম বিপ্লবকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন