রিট প্রত্যাহার ইস্যুতে কী বলছেন হাসনাত-সারজিসের আইনজীবী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪; সময়: ১:৪৩ pm | 
খবর > আইন-আদালত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) বৈধতা নিয়ে করা রিটটিও না চালানোর কথা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রিটকারীরা এটি চালাতে চান না। যার ফলে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

আহসানুল করিম বলেন, রিটকারী বা মামলাকারী কখনও বলেন না কী কারণে তিনি মামলা তুলে নিচ্ছেন। সুতরাং এটি আমি বলতে পারব না, কী কারণে রিটটি তোলা হলো। তবে দেশের সার্বিক গণতন্ত্রের জন্য ও দেশের মঙ্গলের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা বলে আমরা ধারনা। গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
রিট প্রত্যাহার ইস্যুতে কী বলছেন হাসনাত-সারজিসের আইনজীবী
আ.লীগসহ ১১টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার

অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হলো- জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) (দিলীপ বড়ুয়া), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

ওই রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয়।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়।

এ ছাড়াও ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রিটে রুল চাওয়া হয়েছিল।

অপর রিটে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসব নির্বাচনের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছিল।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন