শিবগঞ্জে চলাচলের রাস্তা বন্ধ, অবশেষে ৬ বছর পর আদালতের নির্দেশে সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : চাঁপাইনববগঞ্জের শিবগঞ্জে বাড়ি থেকে বের হওয়ার চলাচলের রাস্তা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বন্ধ ছিল। এতে চরম বিপাকে পড়ে ভুক্তভোগী দুই পরিবার। অবশেষে মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে অবৈধভাবে নির্মাণ করা সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে।
দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েব নাজির নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার কানসাট বিশ্বনাথপুুর গ্রামে অবৈধভাবে নির্মাণ করা এই সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ দেয়া হয়। জানা যায়, উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুুর গ্রামের মৃত্যু আবুল কাশেমের ছেলে মেরাজুল ইসলাম মংলু ও তার ভাই মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা দীর্ঘ ছয় বছর আগে চলাচলের জন্য রাস্তা আটকে দেন সহোদর ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
এ নিয়ে প্রথমে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ডিগ্রি লাভ করে। পরে রাস্তা আটকে দেয়ার বিষয়ে মোজাম্মেল হকও আদালতের শরণাপন্ন হলে তিনি ডিগ্রি পান। এরই প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে দখল করা জমি উদ্ধার করে মেরাজুল ইসলাম মংলু ও মোজাম্মেল হকের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। মোজাম্মেল হক বলেন, একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও প্রতিকার মেলেনি। শুধুু তাই নয়, মেরাজুল ইসলাম মংলুর বাসার বিদুৎতের সংযোগের তারটি যেতে দেয়নি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আচরণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুই পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, নিজের বড় ভাইয়ের বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার রাস্তা ছয় বছর আগে বন্ধ করে দিয়েছিল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। এটি অমানবিক কাজ করেছে। রাস্তা বন্ধ করে বড় ভাইয়ের প্রতি জুলুম করছে পরিবার। অনেক কষ্টে ছিল পরিবারটি। আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ করায় মুক্তি পেল পরিবার দুটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েব নাজির নুরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে মোহাম্মদ আলী জিন্নাত দখল করে বসতভিটা জমিতে নির্মাণ করা অবৈধ সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে জেলা জজ আদালতের জারিকারক রেজাউল করিম, সার্ভে কমিশনার অ্যাডভোকেট আখতারুল ইসলাম ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।