মোহনপুরে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৪; সময়: ৬:১৬ pm | 
খবর > রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুর : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আর রশিদসহ দলের দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিকাল ৪ টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আর রশিদ । যুগ্ন আহবায়ক জাকির হোসেন বকুলের পরিচালনায়। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস সামাদ তিনি তাঁর বক্তব্য প্রদানে বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানে ওই বছরের মধ্য আগস্ট থেকে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির অবসান হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সৈনিকরা। জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ সময় জেনারেল জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে দলটির অনুসৃত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে। তবে জিয়াউর রহমান সে পথে না গিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। এতে চার দিনের শূন্যতার অবসান হয়। ঢাকার রাজপথে সিপাহি এবং জনতা একসঙ্গে নেমে আসে। সেনা ট্যাঙ্কে ফুলের মালা পরিয়ে জনগণ সিপাহি বিপ্লবকে অভিনন্দন জানায়। বেতারে ‘আমি জিয়া বলছি’ ভাষণ শুনতে পায় দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট ্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামিমুল ইসলাম মুন, সদস্য সচিব বাচ্চু রহমান, উপজেলা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল কাদের,শামসুজ্জোহা আক্তার শাহিন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম , যুবনেতা মির্জা শওকত, ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক। কৃষক দলের আহবায়ক গোলাম মোস্তফা বাবলু,সদস্য সচিব জাকারিয়া মন্ডল, উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হক, মিজানুর রহমান মিলন, যুবদল নেতা আব্দুর রহিম, যুব নেতা নাহিদ পারভেজ হিমু, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ওয়ার্ড ব্যাপি বিএনপি’র সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মী সভায় নেতা বলেন, দলকে গতিশীল করতে ও আগামী দিনগুলোতে সুন্দর রাজনীতি করার লক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন