শীতে কেন খাবেন আদা ও তুলসী?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আয়ুর্বেদিক ভেষজের মধ্যে অন্যতম তুলসী। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে এ গাছের জুড়ি নেই। আধুনিক চিকিৎসাতেও তুলসী গাছের গুরুত্ব অনেক বেশি।
পরিবর্তিত আবহাওয়া বিশেষ করে শীতকালে আদার সাথে তুলসী পাতা খাওয়ার গুরুত্ব রয়েছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পাতার পেস্ট শরীরের নানা মৌসুমি রোগ যেমন প্রতিহত করতে পারে, তেমনি পারে সর্দি-কাশি-কফ থেকে মুক্তি দিতে। তাই আসুন জেনে নিই, ভেষজ রানী হিসেবে পরিচিত তুলসী পাতার কিছু গুণের কথা।
১। ফ্রি র্যাডিকেল: বিশেষজ্ঞদের মতে, তুলসীতে ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনল এবং অপরিহার্য তেলের মতো যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করতে সহায়তা করে, যার ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস পায় এবং কোষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: তুলসীর ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানা যায়। যার মানে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
৩। হজমশক্তির উন্নতি: তুলসীর কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে পারে। তুলসী ও আদার পানি পান করলে পাচনতন্ত্র প্রশমিত হয় এবং হজমে সহয়তা করে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ ও জীবাণু ধ্বংস করতেও সাহায্য করে তুলসী।
৪। স্ট্রেস: তুলসী ও আদা শরীরকে চাপের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে এবং শান্ত এবং শিথিলতার অনুভূতি প্রচার করতে সহায়তা করতে পারে। তুলসী পাতা ভেজানো পানি তাই মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৫। শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য: তুলসীর পুষ্টি উপাদান কাশি, সর্দি এবং হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে। তুলসী শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি দেয়ার পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের অস্বস্তি থেকেও মুক্তি দেয়। নিয়মিত তুলসী খাওয়ার অভ্যাস শক্তিশালী কফের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এর অ্যান্টিটিউসিভ বৈশিষ্ট্য দ্রুত কাজ করে কফ, বুক জ্বালাপোড়া এবং সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে।
৬। মুখের স্বাস্থ্য: তুলসীতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সামগ্রিক মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। তুলসীর পানি দিয়ে গার্গল করা মাড়ির স্বাস্থ্যের উন্নতি করার পাশাপাশি নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমাতে পারে।
৭। উষ্ণতা: আদা ও তুলসী রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে। শুধু শরীরে তাপ উৎপাদন নয় এবং মানবদেহে তাৎক্ষণিক শক্তিও জোগায়।
তাই শীত আসার মৌসুমে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন আদা ও তুলসী পাতার পেস্ট। পুষ্টি উপাদান বাড়াতে এর সাতে যুক্ত করতে পারেন প্রকৃতির প্রাকৃতিক অমৃত মিষ্টি মধুকে।