গুরুদাসপুরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন সেচ প্রকল্প জবর দখলে কৃষক বিপাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি গভীর নলকুপ জোর করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সারোয়ার হোসেন সরদার (৫৩)। সারোয়ার উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের জ্ঞানদানগর গ্রামের মৃত জানেক আলীর ছেলে।

অভিযুক্তরা হলেন, বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের রফিক সরদার (৫৩), আবু সামা (৬০), শাকিল সরদার (২২), শুভ সরদার (২০), শামীম হোসেন (৩০), সাইদুল ইসলাম (৩০), আজাদ ইসলাম (৪৫) ও একই ইউনিয়নের জ্ঞানদানগর গ্রামের আকতার হোসেন (৫৫)।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর মৌজায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের একটি গভীর নলকুপ রয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর সেই নলকুপের খন্ডকালীন অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পান সারোয়ার। তবে নতুন অপারেটরকে মেনে নেয়নি অভিযুক্তরা। তাই অপারেটর নিয়োগের পরে অভিযুক্তরা নিয়মের তোয়াক্কা না করে নলকুপের ঘরের তালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক তাদের জমিতে পানি নেয়। এছাড়া নলকুপের ড্রেনের ছকেট খুলে আউটলেট, পাইপ লাইন ও সিসি লাইনের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই নলকুপের সুবিধাভোগী কৃষকরা। তাই দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী সারোয়ার বলেন, এবিষয়ে অভিযুক্তদের নিষেধ করলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয় তারা। সেইসাথে অভিযুক্তরা জোর করে দখলে নিয়েছেন নলকুপটি। তাকে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা নলকুপে। এতে ব্যাহত হচ্ছে সেচ ব্যবস্থা। তাই আইনি সহায়তা পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত রফিক ও আকতার বলেন, আমরা এসব কিছু করিনি। হয়রানি করার উদ্দেশ্যে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে সারোয়ার। তদন্তে বেরিয়ে আসবে সত্য ঘটনা।

এবিষয়ে বিএমডিই বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যা

গুরুদাসপুর থানার র্ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।