ইউক্রেনে ‘বিস্তৃত পরিসরের’ যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩; সময়: ১২:৩১ pm | 
খবর > আন্তর্জাতিক

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইউক্রেনে বিস্তৃত পরিসরের যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ইচ্ছাকৃত হত্যা, নির্যাতন এবং শিশুদের নির্বাসনের মতো অপরাধগুলোও রয়েছে।

জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি তদন্তকারী সংস্থা এই তথ্য সামনে এনেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত ওই রিপোর্টটি প্রকাশ করে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকয়ারি অন ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কাজ মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, ৫ শতাধিক সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি স্যাটেলাইট চিত্র, বন্দিদের আটক রাখা হয় এমন স্থাপনা পরিদর্শন এবং মরদেহ কবর দেওয়া হয়েছে এমন জায়গাগুলো পরিদর্শনের ভিত্তিতে এই রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

এছাড়া জাতিসংঘ-সমর্থিত তদন্তকারী সংস্থার এই রিপোর্টটি এমন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক শিশুদের নির্বাসন এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার জন্য রাশিয়ান কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক এই তদন্ত কমিশন বলেছে, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ওপর ‘নির্বিচারে’ আক্রমণ চালিয়েছে, নির্যাতন করেছে, বেসামরিক লোকদের হত্যা করেছে এবং হামলা থেকে রক্ষায় ইউক্রেনের জনসংখ্যার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিস্তৃত পরিসরের যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি… রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ অসংখ্যবার আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন করেছে।’

তদন্ত কমিশনের এই রিপোর্টে রাশিয়ান বন্দিশালাগুলোতে ব্যবহৃত নির্যাতনের পদ্ধতির বিশদ বিবরণও দেওয়া হয়েছে। এসব বন্দিশালায় ভুক্তভোগীদের সামরিক ফোন দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হতো এবং ‘পাখির মতো’ ছাদের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হতো।

রাশিয়া অবশ্য বরাবরই ইউক্রেনে নৃশংসতা বা বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করার কথা অস্বীকার করে এসেছে।

নিজের সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সাংবাদিকদের বলেছেন, মস্কো নিয়মিত এই ধরনের অভিযোগ শুনে এসেছে।

তিনি আরও বলেছেন, এই ধরনের প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠতা থাকলে ‘আমরা নির্দিষ্ট কেস বিশ্লেষণ করতে, প্রশ্নের উত্তর দিতে, ডেটা, পরিসংখ্যান এবং তথ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত।

কিন্তু যদি তারা (প্রতিবেদন প্রকাশকারীরা) পক্ষপাতদুষ্ট হয়, যদি তারা শুধুমাত্র একটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে, … তাহলে এই ধরনের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কোনও লাভ নেই।’

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন