বিএনপি নেতা চাঁদ আবারও রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদকে একটি মামলায় ফের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে তাঁকে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন চাইলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
একই মামলায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক ওরফে মিলনকেও আজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রাজপাড়া থানা-পুলিশ তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী শামসাদ বেগম মিতালী জানান, রাজপাড়া থানায় পুরোনো একটি মামলায় পুলিশ আবু সাইদ চাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার শফিকুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এ কারণে আজও শফিকুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে এই মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী শামসাদ বেগম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যের জেরে সারা দেশে অনেক মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আবু সাঈদকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজকের মামলাটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে করা। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ ও শফিকুল হক সিটি নির্বাচন বানচালে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে আদালতে বিএনপির এই দুই নেতাকে আনার পর আদালত চত্বরে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা। তাঁরা এই দুই নেতার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় আদালতপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম বলেন, গত ২২ মে নগরের রাজপাড়া থানায় নাশকতা মামলায় আজ দুজনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। মামলার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছিল।
গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় আবু সাঈদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে পুঠিয়া থানায় সে সময় প্রথম মামলা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। এরপর রাজশাহীসহ সারা দেশে একে একে ২২টি মামলা হয় একই অভিযোগ তুলে। এসব মামলায় একাধিকবার তাঁকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তবে এবার পুরোনো একটি নাশকতা মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নিল পুলিশ।