‘আর তিন বছর বাঁচব তাই জামিন চাই’

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩; সময়: ৭:২৭ pm | 
খবর > আইন-আদালত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীর বাড্ডা থানার নাশকতা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ‘আর তিন বছর বাঁচবেন’ বলে আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে গ্রেফতার বিএনপির অপর ১১ নেতাকর্মীর প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিন রাজধানীর বাড্ডা থানার নাশকতা মামলায় গ্রেফতারের পর তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামি দুলুকে কারাগারে আটক ও অপর ১১ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. রিপন উদ্দিন।

এ সময় আসামি দুলু বিচার অনুমতি নিয়ে আদালতে বলেন, ‘এক মাস পরপর আমার কেমোথেরাপি দিতে হয়। আমেরিকা থেকে ওষুধ না আসায় গত ৩ অক্টোবর দিতে পারিনি। এখন মেডিসিন এসেছে। কেমোথেরাপি দিতে অনেক টাকা লাগে কিন্তু ম্যানেজ করতে পারছিলাম না। অনেক কষ্ট করে টাকা ম্যানেজ করেছি। চিকিৎসক বলেছেন আমি আর চার বছর বাঁচবো। তার মধ্যে এক বছর চলে গেছে। আমাকে চিকিৎসা করার জন্য জামিন দিন।’

যদিও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুলুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া অপর ১১ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলেন: ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, আবির ইসলাম সাত্তার, মো. তাজ মোহাম্মদ খান মামুন, মো. শিমুল বিশ্বাস, মো. সোহেল, মো. মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু, মাকসুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা ও শাহীনুর রহমান।

মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মাহবুব হক সজিব মামলার বাদী, সঙ্গে থাকা অফিসার ও ফোর্সসহ বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালান। এ সময় বাড্ড থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রীণ টাওয়ারের নিচ তলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে- এমন সংবাদ পান। এরপর ৭ টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছামাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এজাহারভুক্ত পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে।

এতে এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এএসআই মো. আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ অন্য অফিসারদের এলোপাতাড়িভাবে কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে আসামিরা।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায় যে, ঘটনাস্থলে তারা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক ঢাকায় সমবেত হয়।

এর আগে, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা থেকে দুলুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে রাজধানীর শেওড়াপাড়া থেকে একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আটক করে কাফরুল থানা পুলিশ।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন