যে দ্বীপের সৌন্দর্য আকাশ চুম্বি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৩; সময়: ১১:৪১ am | 
খবর > জাতীয়

আফসানা সেতু : সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ। প্রচুর নারকেল পাওয়া যায়, যার কারণে স্থানীয়রা একে নারকেল জিনজিরা বলে। এখানে প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস।

ছেঁড়া দ্বীপ, প্রবাল দ্বীপ ও দারুচিনি দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রাণ। এখানকার সৌন্দর্য যেন আকাশ চুম্বি।

হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ সিনেমা থেকেই এই দ্বীপের পরিচিতি। সেখান থেকেই ভ্রমণের ইচ্ছে। জাহাজে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে দুই পাশে সমুদ্রের নীল জলরাশি আর সবুজ পাহাড়। আরও দেখা যাবে গাঙচিল, চিপস্ ছুঁড়ে দিলে তারা খপ করে ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলে।

সাগরের যে নীল জলরাশি আর আকাশ যেন মিলেমিশে একাকার।

শীতকালে এ দ্বীপ থাকে শান্ত আর গ্রীষ্মকালে হয় উত্তাল। তাই পর্যটকরা শীতকালকেই ভ্রমণের উপযুক্ত সময় বলে বেছে নেয়।

এখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় আবার সামুদ্রিক মাছের শুটকি মাছ পাওয়া যায়। যেমন- কোরাল, ফ্লাইং ফিশ, লইট্টা, ছুড়ি রূপচাঁদা মাছ ইত্যাদি। এখানকার কাঁকড়া অনেক সুস্বাদু, তবে এখানকার ইলিশ খুব একটা সুস্বাদু নয়।

রহিম নামে এক জেলে বলেন তারা মাছ ধরে এবং তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।

দ্বীপে রয়েছে অসংখ্য নারকেল গাছ। এখানকার ডাব আর তরমুজ খুবই মিষ্টি। এখানকার মানুষ যেন স্বর্গে বাস করে। সেন্ট মার্টিন যেন স্বর্গেরই আরেকটি রূপ।

সাগর কিনারে হাঁটলে অসংখ্য কড়ি, ঝিনুক, শঙ্খ, প্রবাল যেন পায়ে বেঁধে যায়। সমুদ্রের স্রোতের গর্জন যেন মনকে শীতল করে তোলে। জোয়ার ভাটা যেন চোখের ক্লান্তি দূর করে।

সেলিম নামে এক বিক্রেতা বলেন তার এই দোকানে রয়েছে শঙ্খ, মালা, কড়ির তৈরি জিনিসপত্র, আচার ইত্যাদি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। পর্যটকরা এগুলো ক্রয় করতে বেশ আগ্রহী।

এখানে ছোট ছোট মেয়ে গুলো হাতে করে ঝিনুক মালা বিক্রি করে তাদেরকে দেখলে মনে হবে তারা এই সাগরের সাগরকন্যা।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন