নাটোর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়ইগ্রাম) আসনে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠতে না উঠতেই শুরু হয়েছে একের পর এক হামলা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে নৌকার সমর্থিতরা।
বিন্যাবাড়ী এলাকার সাবেক যুবলীগ নেতা ফজুল প্রামানিক, আজাদ, শান্তর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এসে ওই অফিস ভাঙচুর করে চলে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
উল্লেখ্য গত (১৭ডিসেম্বর) সন্ধায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনের সমর্থক নাজিরপুরে যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন শাহকে মারপিট করা হয়।
তার দুই দিন পর গত(১৯ডিসেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থীর আরও দুই কর্মীকে নৌকার সমর্থিতরা জামিনে বেরিয়ে এসেই হাত পা ভেঙে দেয়। তারা বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এতে গুরুদাসপুর থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান,‘প্রকাশ্যে দিবালকে নৌকার সমর্থকরা এসে তাদের অফিস ভাঙচুর করে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এতে সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, দ্রুত এ সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে পরবর্তীতে তারা আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে।
অভিযুক্ত নৌকা’র সমর্থক ফজলুর রহমান জানান, তিনি বা তার কোন লোকজন এমন কাজ করেননি। এঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন জানান, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানোর জন্য একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে সঠিক পদক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা.সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর মুঠোফনে বলেন,‘তার কোন সমর্থক এমন কোন কাজ করতে পারেননা। তাছাড়াও এমন ঘটনা তিনি এখন পর্যন্ত শুনেননি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় তাদের নিয়ে আসা হবে।’ পূর্বের ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। আজকের ঘটনাও তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সালমা আক্তার জানান,‘নির্বাচনী প্রতিটি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের টিম টহল দিচ্ছে। অপরাধ করে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই