জয়পুরহাটের কালাইয়ে অবৈধভাবে ধান কাটার অভিযোগ আদালতে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার নান্দাইল মৌজায় গত আমন মোসুমে একটি জমির পুরোটা জুড়ে আতপ ধান লাগানো হয়েছিল। ওই জমির সবটুকু ধান পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে কাটা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এমন অভিযোগে ওই জমির মালিক মালেকার স্বামী জয়পুরহাট আদালতে মামলা করেছেন।
জানা গেছে, জেলার কালাই উপজেলার পুনট পাঁচপাইকা গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী মালেকা ১৯৯২ সালে উপজেলার নান্দাইল মৌজায় ৩৫৬৬ দাগে ৬৪ শতাংশ একটি ধানী জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। এ বছর ওই জমিতে গত আমন মৌসুমে আতপ জাতের ধান লাগিয়ে ছিলেন এবং ধানের ফলনও ভালো হয়েছিল। এ জন্য জমির মালিক পাকা ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সময়ে এ বছরের গত ১৭ নভেম্বর সকালে ওই জমির মালিকানা দাবি করে একটি পক্ষের ৫-৭ জন লোক জোরপূর্বক ওই জমির সমস্ত পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ঘটনার দুই দিন পর ২০ নভেম্বর জমির মালিক এর স্বামী ইদ্রিস বাদি হয়ে জেলা জয়পুরহাট বিজ্ঞ ৫নং আমলী আদালতে ধান চুরি কাটা ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা (৯০টি/২০২৩) করেন।
এ মামলা বিষয়ে কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে নোটিশ করা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা কাজী মো: মনোয়ারুল হাসান নিশ্চিত করেছেন।
জমির মালিক মালেকার স্বামী পুনট পাঁচপাইকা গ্রামের ইদ্রিস আলী সাংবাদিকদের জানান, দলিল মূলে আমার স্ত্রী ওই জমির প্রকৃত মালিক। জমিতে এ বছর আতপ ধান লাগিয়েছিলাম। ফলনও খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু একটি পক্ষ জমির ভুয়া কাগজ দেখিয়ে মালিকানা দাবি করে এবং ৬-৭ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আমার লাগানো ওই জমির সমস্ত ধান কেটে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, জেলা জয়পুরহাট বিজ্ঞ ৫নং আমলী আদালতে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা (৯০টি/২০২৩) করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, কালাই উপজেলার নান্দাইল গ্রামের আলী আনছার (৪৫), নূর ইসলাম (৫০), মাজেদুল ইসলাম (৩২), মাজেদা (৪৫), মেরিনা (৩৫) এবং মজিদা (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শী নান্দাইল গ্রামের বকুল মন্ডল বলেন, ঘটনার দিন সকালে নান্দাইল গ্রামের আলী আনছার , নূর ইসলাম এবং মাজেদাসহ ৫-৬ জন মিলে ওই জমিতে লাগানো ধানগুলো কেটে নিয়ে গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুঠো ফোনে জানান, জমির ধান কাটা বিষয়ে মামলার তদন্ত করার জন্য আদালত থেকে পাঠানো একটি নোটিশ পেয়েছি। তবে ব্যস্ততার কারণে এখনো তদন্ত শুরু করতে পারিনি। নির্বাচনের পর তদন্ত কাজে সময় দেব।