বগুড়ায় অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: বগুড়ায় চালককে গলা কেটে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়ার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দেন বিচারক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি কারিগরপাড়ার (ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার) আলমের ছেলে মো. মামুন (৩৫), কাটনারপাড়ার কুবা মসজিদ এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. জালাল (৪০) ও গাইবান্ধা সদরের জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. শাহিন (২৭)। তারা পলাতক রয়েছেন।
মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মুকতার হোসেন ও গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্ত।
নিহত অটোরিকশা চালক সাইদুল ইসলাম (৩৫) সোনাতলা উপজেলার হারিয়াকান্দি মধ্যপাড়ার সরোয়ার্দীর ছেলে। ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল বগুড়া সদরের ধরমপুর গড়ের হাট ঈদগাঁ সংলগ্ন পূর্বপাশে টিএমএসএসের ইউক্যালিপটাস বাগান থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শাব্বির আহমেদ বিদ্যুৎ জানান, সাইদুল ইসলাম বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি মাটির মসজিদ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সাইদুল ইসলাম দত্তবাড়ি থেকে জয়পুরপাড়ায় যাত্রী নিয়ে যান। এরপর থেকেই সাইদুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি বাসায় না ফিরলে পরদিন তার ছোট ভাই মানিক মিয়া ও আত্মীয়-স্বজন বগুড়ায় এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বগুড়া সদর উপজেলার ধরমপুর গড়ের হাট ঈদগাঁ সংলগ্ন পূর্বপাশে টিএমএসএসের ইউক্যালিপটাস বাগানের মধ্যে সাইদুলের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই মানিক অজ্ঞাতদের আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এরপর মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামুনকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনায় জড়িত দুইজনের নাম প্রকাশ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামুন। এর কিছু দিন পর জামিন নিয়ে পালিয়ে যান মামুন। আর বাকি দুজন তখন থেকেই পলাতক ছিলেন। মামলার দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক সোমবার বিকেলে রায় দেন।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ছানোয়ার হোসেন।