নিত্যপণ্যের দাম ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আসন্ন পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১২ অথবা ১৩ মার্চ। সেই হিসাবে এখনো রোজার বাকি ১৮/১৯ দিন।
কিন্তু এর আগেই বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মুরগির দাম। ক্রেতারা বলছেন, রোজা না আসতেই মুরগির দামের এই অবস্থা। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকলে আমরা চলব কী করে?
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের মুরগির মাংসের দামই ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
দামের এই ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির দাম বেশ কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে। কেনা দাম বেশি পড়ায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, মুরগির দাম কয়েকদিন ধরেই বাড়তি। দাম বেড়ে যাওয়াতে বিক্রিও কিছুটা কমে গেছে।
মুসলেম উদ্দীন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মুরগির দাম সবসময় বাড়া-কমার মধ্যেই থাকে। তবে বাড়ার প্রবণতাই বেশি। এখন আমাদের কেনা দাম বেশি হলে কিছু করার থাকে না।
তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে মুরগির দামের এই ঊর্ধ্বগতি বিপাকে ফেলেছে সাধারণ ক্রেতাদের। মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও মুরগির দাম কম ছিল, হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। কেন বেড়েছে, তার কোনো উত্তর নেই। কিনলে এই দামেই কিনতে হবে।
চাকরিজীবী আব্দুল আজিজ বলেন, রোজা না আসতেই মুরগির দাম বেড়ে গেছে। সবকিছুর দামেই ঊর্ধ্বগতি। এভাবে যদি সবকিছুর দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা চলব কীভাবে?
স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, গরুর মাংসের দাম বেশি বিধায় সাধারণ ক্রেতারা মুরগিই কিনে থাকে। এখন সেটাও বেড়ে যাচ্ছে রোজার আগেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।