ইবিতে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ অধীনে তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ‘জনভোগান্তি নিরসনে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) বেলা ১০ টার দিকে মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৪১৫ নং কক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়। এতে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে ভূমি সম্পর্কিত তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়।
ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম খান।
এসময় ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিলাসী সাহা, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, উপ-রেজিস্টার (প্রশাসন) ও এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা চন্দন কুমার দাস, তথ্য ও গণসংযোগ অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার সাহেদ হাসান সহ বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় স্বাগত বক্তা চন্দন কুমার দাস বলেন, এপিএ অর্থাৎ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক ২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে। এটির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন অফিস ও সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে জনগণের সেবার জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা।
উপজেলা পরিষদ জেলায় জবাবদিহি করবে, জেলা করবে বিভাগে, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মঞ্জুরী কমিশনে আর মঞ্জুরী কমিশন শিক্ষামন্ত্রণালয়ে জবাবদিহি করবে। আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে মঞ্জুরী কমিশনের সাথে চুক্তি হয়।
এই চুক্তির আওতায় ৫টি উপাদান রয়েছে ক) শুদ্ধাচার কমিটি, খ) ই-গভর্নেন্স, গ) উদ্ভাবনী কমিটি ঘ) অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটি, ঙ) তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি।
এই যে সেমিনারে আলোকচিত্র বা স্থির চিত্রের মাধ্যমে তোমাদেরকে সচেতন করা হচ্ছে সেটাই স্মার্ট ই গভর্নেন্স এবং তথ্য অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।
মুখ্য আলোচক ড. আব্দুল করিম খান বলেন, আমরা শুয়ে থাকলেও ভূমির ওপরে, বসে থাকলেও ভূমির ওপরে, পড়ে গেলেও ভূমির ওপরে, হাঁটলেও ভূমির ওপরে এমনকি আকাশ পথে গেলেও ভূমির ওপরে কিন্তু ভূমিটা আসলে কী ! ভূমি বলতে আসলে ৪টি বিষয় (Surface, Sub surface, centre, space or sky of the land) উপস্থিতকে বুঝায়। এছাড়াও তিনি ভূমির সংজ্ঞা, ডিজিটাল কী, ভূমি ব্যবস্থাপনা কী ও তথ্য অধিকার সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, শেষ জীবনে একটা জায়গা কিনে বাড়ি কিনলেন, যদি সচেতন না হন তাহলে ভূমিদস্যু কিংবা সমাজের রাঘব বোয়ালদের কবলে পড়তে পারেন। সেই জন্য ভূমি সম্পর্কিত তথ্য জানা দরকার। আমাদের দেশের বহু মানুষ, গরিব, অসহায়, কৃষক ইত্যাদি তারা ভূমিহীন হয়ে গেছে।
সমাজে দখলদারদোর অধীনে যাওয়ার কারণে। কারণ তারা সচেতন ছিল না। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্যটা হচ্ছে সচেতন বৃদ্ধি করা। আমি শিক্ষার্থীদের বলব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে। কে কোন দায়িত্ব পালন করতেছে সেই বিষয়ে ধারণা নিলে সহজে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।
বিভাগীয় সভাপতি সাহিদা আখতারের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনারটা শেষ হয়। সমাপনী বক্তব্যে তিনি সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং জন ভোগান্তি দূরীকরণে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন।