বিজেপির হ্যাটট্রিক নাকি কংগ্রেসের উত্থান, নজর বুথফেরত জরিপে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্ব, দুর্নীতি, বন্ড কেলেঙ্কারি ও ধর্মীয় সহিংসতার মতো নানা ইস্যুতে জনপ্রিয়তা কমেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। দেশটির গণমাধ্যমের খবর; শুরুতে ৪০০ আসনের লক্ষ্য নিয়ে দলটি মাঠে নামলেও নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে তা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। বিপরীতে নানা ইস্যুতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। টানা তৃতীয়বারের মতো জয় তুলে বিজেপির হ্যাটট্রিক নাকি কংগ্রেসের উত্থান। তা জানতে সবার নজর এখন বুথফেরত জরিপের দিকে।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের কার ভাগ্যে কি আছে তা জানা যাবে আগামী ৪ জুন। ২৮ রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে ৩৬টি প্রশাসনিক অঞ্চলে দীর্ঘ ৪৭ দিনের ভোট উৎসব শেষে ফলাফল ঘোষণা হবে ওই দিন। জানা যাবে কে বসছে দিল্লির মসনদে।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের পূর্বাভাস, এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনের শুরুতে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ৪০০ আসনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামলেও প্রতি দফার ভোট শেষে তা অনেকটাই ফিকে হয়েছে। ভোটারদের টানতে আগে থেকে টার্গেট ঠিক করা এমনকি মোদির ধ্যানে বসাকে রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ভাবছেন অনেকে। এমনকি নির্বাচনে ৪০০ আসন তো দূরের কথা, ‘ম্যাজিক ফিগার ২৭২’- ই অতিক্রম করতে না পারার শঙ্কায় বিজেপি।
মোদির দলের সম্ভাব্য এমন দশার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা প্রথমত, কম ভোটার উপস্থিতিকে চিহ্নিত করছেন। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাড়তে থাকা বেকারত্ব, দুর্নীতি, বন্ড কেলেঙ্কারিও ধর্মীয় সহিংসতার মতো নানা ইস্যু। তাদের মত, নির্বাচনে সফলতা পেতে হলে আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত বোঝাপড়া করতে হবে বিজেপিকে। তা না হলে ভেস্তে যেতে পারে মোদির ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বপ্ন।
তবে বিজেপির ঠিক উল্টো অবস্থানে আছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। নির্বাচনের ফলের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই শক্তিশালী হচ্ছে জোটের অবস্থান। তবে এখন পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোটের বড় ব্যর্থতা প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঠিক না করতে পারা। যদিও বিশ্লেষকরা মনে করছেন এর উত্তরও মিলবে শিগগিরই।
নির্বাচনী জরিপ অনুযায়ী, বিজেপি এবার পূর্ব থেকে দক্ষিণ ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে আসন হারাবে। এ অঞ্চলে আছে দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, বিহার, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। অন্যদিকে আসাম, উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ ও কেরালায় বিজেপির ভোট বাড়ছে বলে ইঙ্গিত মিলছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচার শেষে কেদারনাথ এবং ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের শিবাজির প্রতাপগড় দুর্গে ধ্যানে বসেছিলেন মোদি। এবার দক্ষিণ ভারতের শেষ ভূখণ্ড কন্যাকুমারীতে সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত ‘বিবেকানন্দ রক’-এ গিয়ে ধ্যানে বসেছেন তিনি। এমন কৌশলে মোদি এবারও পার পাবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে।