এই মৌসুমে লটকন খাচ্ছেন, ফলটি নিয়ে যা বলছেন পুষ্টিবিদ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এই মৌসুমে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায় যার মধ্যে আছে লটকন। এখন বাজারে গেলেই দেখা মেলে ছোট্ট হলুদ বলের মত এই ফলটি। অনেকে এটা খেতে ভালোবাসেন। তবে রসালো এই ফলটি খেলে মিলবে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা, যেটা আমরা অনেকেই জানি না। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের পুষ্টিবিদ নুশরাত জাহান।
তিনি বলেন, আমাদের খাদ্য তালিকায় সবসময় মৌসুমি ফল রাখার চেষ্টা করা উচিত। এই মৌসুমে বাজারে প্রচুর লটকনের দেখা মিলে। এই মৌসুমি ফলটি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। লটকন পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর একটি ফল। লটকনে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, থায়ামিন,ভিটামিন বি, সি ইত্যাদি এবং প্রোটিন ও প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
লটকনের উপকারিতা
লটকনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীরের ঘা তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খেলে ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হয়। এতে স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ হয়।
বর্ষায় ফ্লু, জ্বর, সর্দি, কাশির সংক্রমণ হতে পারে। নিয়মিত লটকন খেলে এ সব সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধ হয়।
বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে ত্বকে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়মিত লটকন খেলে চর্মরোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এটি ত্বকের রুক্ষতা ও ত্বক ফেটে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
রক্ত, হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারি উপাদান আয়রন রয়েছে লটকনে। এটি হিমোগ্লোবিন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারি খনিজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
লটকনে থাকা অ্যামাইনো এসিড ও এনজাইম দেহ গঠন, কোষের ক্ষয়পূরণ, ও কোষকলার সুস্থতায় সাহায্য করে।
লটকনে জলীয় অংশ অর্থাৎ পানির পরিমাণ বেশি থাকে। এটি খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর এ ফলটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফলটি খেতে পারেন। তবে অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।
সতর্কতা: সব খাবার খাওয়ার একটি মাত্রা আছে। লটকন খাওয়া নিয়ে পুষ্টিবিদ বলেন, প্রতিদিন ৩-৪ টি লটকন কোণো সমস্যা ছাড়াই একজন মানুষ খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত লটকন খেলে ক্ষুধামন্দার কারণ হতে পারে। এ ছাড়া পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কিডনি রোগীদের কম খেতে বলা হয় এটি। কিডনি রোগীরা লটকন খেতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।