নওগাঁয় জাল চেক ব্যবহার করে মামলা করায় বাদিকেই ৮ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৪; সময়: ৮:৩৬ pm | 
খবর > আইন-আদালত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, নওগাঁ : নওগাঁয় জাল চেক ব্যবহার করে মামলা করায় মামুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারা ভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নওগাঁর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ইমতিয়াজুল ইসলাম সোমবার প্রকাশ্য আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় প্রদানের দিন দন্ডাদেশ প্রাপ্ত মামুনুর রশিদ নওগাঁ জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। তিনি নওগাঁর জেলার বদলগাছী উপজেলার সাগরপুর গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, মামুনুর রশিদ চেক জাল করে ২০২০ সালে জহুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আসামী করে নওগাঁ সদর আমলী আদালতে চেক ডিজ অনারের একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য বিজ্ঞ যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। বিচারান্তে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর আদালত মামলার আসামী জহুরুলকে অভিযোগের দায় থেকে খালাস প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় মামুনুর রশিদের দাখিল করা ৫৩ লাখ টাকার চেকটি বিচার কার্য চলাকালে আদালতের কাছে ত্রুতিপূর্ণ মনে হয়। ফলে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, প্রথম আদালতের বিচারক তার রায়ের ব্যাখায় উল্লেখ করেন যে, ‘মামলার বাদি দাখিলকৃত চেকে ৩ লাখ টাকাকে টেম্পারিং করে ৫৩ লাখ টাকা বানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন।’

চেক টেম্পারিং করে মামলা করায় আদালতের বিচারক মো: তাজুল ইসলাম মিঞা নিজেই বাদি হয়ে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর মামনুর রশিদকে আসামী করে আমলি আদালতে ১ এ পেনাল কোড এর ৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ও ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামী মামনুর রশিদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি, চার্জ গঠন ও স্বাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহন, ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা করে আদালত ৭ মাস ১২ দিন বিচার কার্য সম্পন্ন করার পর মামলার রায় দেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন