মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন পদ্মায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ, বাংলাদেশী জেলেরা বসে থাকলেও ভারতীয় জেলেরা বেপরোয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪; সময়: ৭:০৭ pm | 
খবর > রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট (রাজশাহী) : মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা সংরক্ষনে পদ্মানদী ও বড়াল নদীতে গত ১৩ অক্টোবর হইতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২২দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এসময় ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরন, ক্রয়-বিক্রয় ও বিক্রয় সম্পুর্নরুপে বন্ধ থাকবে। নিষেধাক্ষা অমান্য করলে অর্থ জরিমান ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে জেলের বিধান রয়েছে।

তবে বিশেষ করে চারঘাট উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মানদীর অবস্থান বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় স্থানীয় দেশীয় জেলেরা সরকারী নির্দেশনা মেনে চললেও অবাধে মাছ আহরন করছেন ভারতীয় জেলেরা। ফলে সীমান্তবর্তী উপজেলায় বহমান পদ্মায় ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির সরকারী উদ্যেগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন রাওথা গ্রামে জেলে রহিম। প্রয়োজন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ নদী সীমান্তবর্তী ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মা ইলিশ সংরক্ষন, জাটকা নিধন বন্ধ ও ইলিশের অবাধ প্রজননে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইউসুফপুর, থানাপাড়া, চারঘাট, গোপালপুর, চন্দনশহর, পিরোজপুর, রাওথা সংলগ্ন পদ্মানদীতে ছোট ছোট নৌকা ব্যবহার করে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ভারতীয় জেলেরা তাদের সীমানায় মাছ আহরন করছেন। বাংলাদেশ সীমানায় মাছ আহরন বন্ধে মৎস্য অধিদপ্তরের সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করলেও ব্যবস্থা নিতে পারছে না ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে। ফলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা সেই ভাবে সফল হচ্ছে না।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২২দিন ইলিশ আহরন বন্ধ থাকায় উপজেলার নদীতীর জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হয়েছে। কার্ডধারী প্রায় ৫শত ৭০ জন জেলে ভিজিএফ সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি চাল দেয়া হয়েছে যাতে করে তাদের কোন কষ্ট না হয়।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালি উল্লাহ মোল্লাহ বলেন, সরকারী নিষেধাক্ষা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, প্রশাসন, নৌ পুলিশ সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কয়েকদিনের অভিযানে প্রায় ১৬ হাজার কারেন্ট জাল উদ্ধার ও ৬ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। অভিযান সুষ্ঠভাবে পরিচালনা হলে মাছের উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি আশা করেন। মা ইলিশ রক্ষায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের জেলেদের এসময় নিরুৎসাহিত করতে পারলে পদ্মায় ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, গুনগত মান বৃদ্ধি ও বড় আকারের ইলিশ মাছ উৎপাদন হবে বলে জানান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন