সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে এনায়েতপুর ও ডাসারে নানা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : মাদারীপুর-৩ (সদর ও কালকিনি) আসনের বার-বার নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেনের শুক্রবার ২৫ অক্টোবর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ উপলক্ষে বাদ মাগরিব এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফে শায়িত তার কবর জিয়ারত, আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের পক্ষ থেকে শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সৈয়দ আবুল হোসেনের জন্মভূমি মাদারীপুরের ডাসারে একইভাবে তার আত্মার শান্তি কামনায় বাদ জুমা পরিবারের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সৈয়দ আবুল হোসেনের প্রতিষ্ঠিত প্রতি ওয়াক্তে পাঁচ শতাধিক মানুষের নামাজের জন্য অনন্য কারুকার্যে নির্মিত মসজিদ-ই-নুর এর উদ্বোধন করা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৫ অক্টোবর ৭২ বছর বয়স্ক সৈয়দ আবুল হোসেন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার পুর্ব ইচ্ছা অনুযায়ী দাদা শ্বশুর উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক হযরত শাহ সুফি খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী রঃ এর পাক দরবার শরীফে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
সৈয়দ আবুল হোসেনের স্ত্রী সহ ২ মেয়ে রয়েছে। বছরে কয়েক বার তিনি এনায়েতপুরে আসতেন ও মানুষের খোঁজ খবর নিতেন। যেকারো প্রয়োজনে থাকতেন পাশে। এনায়েতপুরে তার রয়েছে নিজস্ব বাসভবন।
পিতার আদর্শে তার দুই মেয়ে দেশ সেবায় মানুষের কল্যানে নিবেদিত থাকবেন বললেন বড় মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন। তিনি জানান, আমার বাবা শুধু আমাদের বোনদেরই উচ্চ শিক্ষিত করেনি। পাশাপাশি আমাদের মাদারীপুরের অসংখ্যা অভাবী ছেলে মেয়েদেরও শিক্ষিত করেছেন।
তারা জাতি সংঘসহ দেশ বিদেশে সুনামের সাথে কর্মজীবনে নিযুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি একজন দেশপ্রেমিক সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশ ও মানুষের কল্যানে তার অপরিসীম ভুমিকা আমাদেরকেও উৎসাহিত করে। অপরের মঙ্গলে নিজের আত্বতৃপ্তি, তার সে বৈশিষ্ট আমাদের জীবনেও প্রতিফলিত হবে প্রতি পদে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ আবুল হোসেন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বেতগ্রামে ১৯৫১ সালের ১ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, লেখকসহ নানা গুনের অধিকারী।
এছাড়া তিনি মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ও যোগাযোগ মন্ত্রী।