রাজশাহীতে আ.লীগ নেতা পিএম সফিকুলকে আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪; সময়: ৭:৫২ pm | 
খবর > রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে দিনভর আটকে রেখে ৭ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধারে গেলে তোপের মুখে পড়ে। শনিবার বিকালে তাকে নগরের সাধুর মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এই আওয়ামী লীগ নেতার নাম ড. পিএম সফিকুল ইসলাম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। এছাড়া তিনি স্বে”ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। সফিকুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পরে নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি। অধ্যাপক সফিকুলের গ্রামের বাড়ি বাগমারায় হলেও তিনি শহরের বাসার রোড এলাকায় থাকেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পিএম সফিকুল ইসলামকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বিকালে খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে যায়। এ সময় পুলিশের ওপর চড়াও হন কেউ কেউ। পুলিশকে আক্রমণও করা হয়। ওই সময়ের ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘আওয়ামী লীগের পুলিশ’ বলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়।

পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় পিএম সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমি শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ছিলাম। আমি কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নই। আমার নামে কোন মামলাও নেই।’ তিনি জানান, স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও পাড়ার ছেলেরা তাকে আটকে রেখেছিলেন। তার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘পিএম সফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের থানায় তার নামে কোন মামলা নেই। এখন বাগমারা থানায় তার নামে কোন মামলা আছে কি না সেটি আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’

আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও পুলিশের ওপর আক্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এটা হয়েই থাকে। সফিকুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি আমরা জানি না।’

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন