সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে রাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪; সময়: ৯:৫৯ pm | 
খবর > শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

শনিবার দুপুরে ছাত্রদলের দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক।

গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতার নাম ফিরোজ মাহমুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শহিদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাসা বগুড়া জেলায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ মাহমুদ সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজকে আটকে মারধর করেন। পরে তারা মতিহার থানা পুলিশকে খবর দেন।

আরও জানা যায়, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে ছাত্রদলের দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক শনিবার দুপুরে বলেন, মামলার বাদী ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজন ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আজ দুপুরে ছাত্রদল নেতার করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ১০১ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে নগরের মতিহার থানায় মামলা করেন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করা হয়। ১৭ অক্টোবর ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বাদী আহসান হাবিব ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলামের ফোনালাপের দুটি রেকর্ড ফাঁস হয়। এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আহসান হাবিবের করা ওই মামলায় ফিরোজ মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন